প্রথম রোজা থেকেই দেশের সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। অপপ্রচার, গুজব তৈরি ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা ঠেকাতে এরইমধ্যে শাস্তির আওতায় এসেছেন দুই জন শিক্ষক। কাউকে কাউকে দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
আর এই নজরদারিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়-জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ৪টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ অনুসরণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কার্যক্রম সমূহ পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করবে এই কমিটি।
এছাড়া ‘স্যোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন’ নামে আরেকটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির কাছে গঠিত ৪টি কমিটি প্রতিবেদন ও সুপারিশ পাঠাবে বলে জানা গেছে। রোববার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হামিদুল হকের সই কৃত কমিটি গঠন সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা জারির পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও গুজব, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এবং সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’