স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শপথবাক্য পাঠ মঞ্চের ডায়াসের লেখায় যে ভুল বানান ছিল তা যান্ত্রিক ত্রুটি বলে জানিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। তবে গণমাধ্যমে এই দাবি করার পর তা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তিকে দুষে দায়িত্বপালনের গাফলতি স্বীকার না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে দুইদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মঞ্চের ডায়াসে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ লেখার বদলে লেখা হয় ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’।
এ বানান বিভ্রাট নিয়ে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আমরা একটি চিপ-এ পিসি থেকে ট্রান্সফার করে লেখাটি উৎকীর্ণ করেছি। ডিভাইস ট্রান্সফারের একপর্যায়ে একটি ‘ব’ অক্ষর অমিট হয়ে গেছে। আমরা পিসিতে চেক করে দেখেছি এটা ঠিকই আছে। অ্যাডভান্স টেকনোলজির বিষয়টি হয়ত স্যুট করেনি। এলইডিতে পরিস্ফুটন করে লেখাটি তোলা হয়েছে। পোডিয়ামের মনিটরেই আমরা ত্রুটিপূর্ণ বানান দেখতে পাই। এমন প্রাযুক্তিক গোলমালের বিষয়টি দৃষ্টিতে আসার পরপরই নামাজের বিরতিতে মাধ্যমটি পরিবর্তন করে ত্রুটি ঠিক করা হয়। অর্থাৎ প্রথমে এলইডিতে পরে ম্যানুয়ালি উৎকীর্ণ করা প্লেট প্রতিস্থাপন করা হয়।
আয়োজক কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট আসিফ কবির সাংবাদিকদের বলেছেন, বোর্ডটা এলইডিতে করা। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য একটি ‘ব’ ফুটে ওঠেনি। আয়োজকদের দৃষ্টিতে আসার পরপরই অনুষ্ঠানের বিরতির সময়ে এই ত্রুটি দূর করা হয়েছে।