কৈশরেই গণিতকে ‘ভয়’ না করে ‘জয়’ করতে পারলে ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রতিটি সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। দুই দশকের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে সেই প্রমাণ দিয়েছে জার্মান ও জাপান। তাই প্রোগ্রামিং, কোডিং আর ফ্রিল্যান্সিং-এ দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্র্যাক কুম লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করলো আইসিটি অধিদপ্তর।
সোমবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে সম্মেলন কক্ষে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চুক্তির আগে দেয়া বক্তব্যে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ জাপানের মতো অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জাপানী শিক্ষা পদ্ধতি কুমন দেশে ছড়িয়ে দিতে চলতি বছরের মধ্যেই ৬টি স্কুল অব ফিউচারে পাইলট বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে পুরোপুরিভাবে এ আনন্দদায়ক এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। খরচ বাঁচাতে জনশুমারিতে ব্যবহৃত ট্যাব এই কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জাপান এক্সট্রারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্টো) এর বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো, ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের প্রধান নেহাল বিন হাসানসহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের আইডিয়া ফ্লোরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপ-টেক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও আমব্র সিস্টেমের চেয়ারম্যান সাইফ আল আলেলিসহ ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসময় তারা ডীপ-টেকে বিনিয়োগ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ফাইনেনশিয়াল ডাটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যৌথ কোলেবরেশনে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।