শিক্ষার্থী-শিক্ষক, গবেষক, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকদের মধ্যে ‘ডিজিটাল সেতুবন্ধন’ রচনার উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থাপিত ‘ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন হাব’গুলো নিয়ে আসা হচ্ছে ওয়েব প্লাটফর্মে। এর নাম দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল ডিজিটাল অন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বা ডিড।
উদ্ভাবনী এই প্রকল্পের অধীনে ওয়েব,ফেসবুক বা ইউটিউব ঠিকানায় গিয়ে এই প্লাটফর্মটি যেন আন্তর্জাতিক মানের মনে হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, “অন্টারপ্রেনিউর সাপ্লাইচেইনে বিশ্বে বাংলাদেশের যে হিউজ রিকোয়্যারমেন্ট রয়েছে তা মেটাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রধামনমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী, ‘তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে জব সিকার না হয়ে জব ক্রিয়েটর’ হিসেবে গড়ে তোলার ফিলোসফিটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই।”
রবিবার হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ডিইআইইডি প্রকল্পের অধীনে কন্টেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাত্রা’র চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে প্রতিমন্ত্রী।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে করপোরেট সংস্কৃতির অংশী করতে পরামর্শ দিয়ে পলক আরো বলেন, ‘হাইটেক পার্ক সরকারি কর্তৃপক্ষ হলেও এটাকে প্রাইভেট করপোরেট কালচারে রূপান্তরিত করতে হবে; যাতে এটাকে সরকারি কোনো গতানুগতিক মন্ত্রণালয়ের অংশ হিসেবেবে বিবেচনায় কেউ না নেয়। এটাকে যেনো প্রাইভেট, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মতো ডিজাইন করা হয়।’
অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিড প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল বারী,
দক্ষমানব সম্পদ গড়ে তুলতে এই প্রকল্পে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পটি আর্থিক বিবেচনায় ছোট হলেও এর প্রভাব অনেক বড় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।