ল্যাপটপের পর এবার আসছে দোয়েল হ্যান্ডসেট। কেবল ফিচার নয় থাকছে স্মার্টফোনও। নতুন অর্থবছরের শুরুতেই দেশে সংযোজিত হ্যান্ডসেট নিয়ে উড়াল দেবে দোয়েল।
গাজীপুরে স্থাপিত টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেসিস) কারখানায় সংযোজিত হচ্ছে দোয়েল মোবাইল ফোন। চলতি বছরের শুরু থেকেই ১৫ হাজার বর্গফুটের এই কারখানায় পরীক্ষামূলক ভাবে মোবাইল ফোন সংযোজন হচ্ছে।
সূত্রমতে, ওকে ব্র্যান্ড নামটি এখন বদলে যাচ্ছে দোয়েল নামে।
পরিচয় প্রকাশ না করা শর্তে ওকে মোবাইলের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেসিস কারখানায় মোবাইল সংযোজন করতে মাসিক ভাড়া এবং হ্যান্ডসেট বিক্রির মোট অর্থের ওপর তিন শতাংশ রাজস্ব আয় বন্টন হিসেবে পাঁচ বছর আগে সরকারের কোম্পানির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল। তারা ডিমান্ড নোট পেয়েছে। প্রথম ধাপে ৫৭ লাখ টাকা জমা দিয়ে তিন বছরের জন্যে লাইসেন্স নিয়েছেন। তিন বছর পর আরও ৫৭ লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এক মাসের মধ্যে দেশেই উৎপাদিত ওকে মোবাইল ফোন বাজারজাত শুরু হবে।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, চুক্তির ভিত্তিতেই ওকে’র ব্র্যান্ড নাম দোয়েল হয়েছে। ঈদের আগেই এটি উদ্বোধন করার পর্যায়ে রয়েছে বলে টেশিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু নানা ব্যস্ততা থাকায় এটা হয়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে চলতি মাসে না হলেও বাজেটের আগেই দোয়েল হ্যান্ডসেট উন্মোচন করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের কদর বেড়েছে। বাইরে তৈরি হ্যান্ডসেট আগামীতে বাংলাদেশে ততটা সুবিধা করতে পারবে না। বাংলাদেশে সংযোজিত, উৎপাদিত হ্যান্ডসেটই দেশের চাহিদা মেটাবে।
এদিকে চলতি মাসেই কোর আই-থ্রি, কোর আই-ফাইভ, কোর আই সেভেনের দোয়েল ল্যাপটপ বাজারে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল ইসলাম।
জানাগেছে, ২০১৪ সালে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় টেলিফোন শিল্প সংস্থার কম্পাউন্ডে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বলি প্লান্ট তৈরির জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ‘ওকে মোবাইল’। ২০১৫ সালে কোম্পানির ওয়েব সাইটে দেশে অ্যাস্বেম্বলিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল উৎপাদন করার কথা জানিয়েছিল। এরপর কেটে গেছে কয়েকটি বছর। ২০১৪ সালেই তারা কয়েকটি হ্যান্ডসেট বাজারজাত করলেও ২০১৫ সালের দিকে তাদের হ্যান্ডসেট বাজারজাতের গতি কমে যায়। একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সরকার দেশে মোবাইল সংযোজনে প্রণোদনা ঘোষণা করলে নতুন উদ্যোমে বাজারে আসার উদ্যোগ নেয়। এ পর্যায়ে নতুন করে টেশিশের সঙ্গে চুক্তির সময় ওকে’র পরিবর্তে দোয়েল ব্র্যান্ড নামে আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।