আন্তর্জাতিক ভাবেও শেখ রাসেল দিবস পালনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেছেন, প্রিয় লেখক ও দার্শনিক বার্টেন্ড রাসেল এর নামে ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন অতিথিপরায়ন, বন্ধুবৎসল। এমন একজন শিশুকে যারা হত্যা করেছে, যারা তা সমর্থন করেছে, সকলের প্রতি আমাদের ঘৃণা। আর এই দিবসটিতে বিশ্বের প্রতিটি শিশুই যেনো নিরাপদ থাকে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়ে তোলা শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ এতোদিন নিজেদের উদ্যোগে শেখ রাসেল দিবস পালন করে আসছিলো। এবার আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে এই দিবস পালন করা হবে। বিশ্বজুড়েই যেন শিশুরা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য এবার দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠান করছি। তবে অচিরেই এই দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হবে।
রবিবার আইসিটি টাওয়ারে শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রযুক্তি খাতে ভবিষ্যতের শিশুদের পারদর্শী করে তুলতে ইতোমধ্যেব বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি অধিদপ্তর যৌথভাবে সারা দেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি এবছরই ৩০০টি সংসদীয় আসনে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন কাজ শেষ হবে। এছাড়াও একটি শিশুও যেনো পথে না থাকে, গৃহহীন না থাকে সে জন্য ১৩টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে এবং মিনিস্টারিয়েল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একইভাবে ১৮ অক্টোবর শিশুদের জন্য জাতীয় জাদুঘর উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও যুব বিভাগ দেশজুড়ে দিবসটি পালনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যেথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু এবং শিক্ষা, শিল্পকলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১০টি শেখ রাসেল স্বর্ণপদক, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য দশম প্রজন্মের ২০টি কোরআই সেভেন ল্যাপটপ ও এলইডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে অষ্টম প্রজন্মের ৪০০০ কোর আই ৫ ল্যাপটপ পুরস্কার দেবে আইসিটি বিভাগ। এর মধ্যে জেলা পর্যায়ে ৩৯৯৯৫টি ল্যাপটপ দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠা সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদী ও শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।