পৃথিবী জুড়ে সস্তায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেবে স্পেস এক্স। এজন্য মহাকাশে ৬০টি স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে এলোন মাস্কের রকেট কোম্পানি। পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে পাঠানো হচ্ছে স্টারলিংক নামের স্যাটেলাইটগুলো।
কথা ছিলো, বুধবার স্যাটেলাইটগুলো পাঠানো হবে। কিন্তু তীব্র বাতাসের চাপে একদিন পিছিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভাল থেকে যাত্রা শুরু করবে স্যাটেলাইটগুলো।
স্পেস এক্স জানিয়েছে, পৃথিবীকে ঘিরে হাজার হাজার স্যাটেলাইট ঘুরছে ঠিকই। কিন্তু তারপরও বিশ্বের অনেক স্থানেই নেই ইন্টারনেট সংযোগ। সেসব স্থানেই স্বল্প মূল্যে ইন্টারেনট সংযোগ পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। শুরুতে স্বল্প পরিসরে উদ্যোগ নেয়া হলেও অভিযান সফল হলে আরো বিস্তৃত পরিসরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বুধবার এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রথম ব্যাচে উপগ্রহগুলো কার্যত অভিন্ন হবে। কক্ষপথে পরিভ্রমণের সময় এরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।
তিনি বলেন, স্যাটেলাইটগুলোতে অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এগুলো ঠিকমতো কাজ না করার শঙ্কাও রয়েছে। তবে সেই ঝুঁকিটা কম।
নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে আরো ছয় দফা অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে মাস্ক বলেন, স্টারলিংক বিশ্বের ছোট অংশগুলির জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ইন্টারনেট কভারেজ প্রদান করতে শুরু করবে। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশে কভারেজ সরবরাহ করার আগে এটি ১২ দফা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ওয়ান ওয়েব এবং অ্যামাজনের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের পাশাপাশি একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে স্পেস এক্স। অবশ্য লিওস্যাট এবং টেলিস্যাটের মতোই কম পরিচিত কোম্পানিও রয়েছে এই বহরে।
মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট সেবা দিতে গত মাসে কুইপার প্রকল্প চালু করে অ্যামাজন। অন্যদিকে সফটব্যাংক এবং কোয়লকমের মতো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই ৬টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ান ওয়েব।
এ বিষয়ে নর্দান স্কাই রিসার্চ’র প্রধান গবেষক শাগুন সত্যদেব বলেন, বৃহস্পতিবারের অভিযান সফল হলে নিঃসন্দেহে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে চলে যাবে স্পেস এক্স। তবে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্পেসএক্স মোট ১২ হাজার উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠাতে পারবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি আশা করেন, নতুন উপগ্রহ স্থাপনে কোম্পানিটির খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। সমুদ্রের উপর পূর্ণ কভারেজ প্রদানের বাইরে কোম্পানিটি যথেষ্ট সুবিধাও করতে পারবে না।