আইওটি, বিগডাটা, ব্লকচেইন ও রোবটিক্স নতুন ধারার প্রযুক্তি। এ সব প্রযুুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশের সকল হাই-টেক পার্ককে আলাদা আলাদা স্পেশালাইজড পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার সিটিও ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘হাই-টেক পার্কস টু মেইক বাংলাদেশ আইটি হাব’ ওয়েবিনারে এমন আহ্বান জানান প্রযুক্তি খাতের সংশ্লিষ্টরা।
হাই-টেক পার্কে উদ্যোক্তাদের ভাড়া কমানোর আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, যশোর হাই-টেক পার্কে প্রায় সবাই দেশিও উদ্যোক্তা। এ তরুণ উদ্যোক্তাদের পক্ষ এত ভাড়া দেয়া খুবই কষ্টকর। উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে হলে হাই-টেক পার্কের ভাড়া সহনীয় করা উচিত।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, হাই-টেক পার্ক তৈরির করার জন্য সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং বেসরকারি খাত থেকে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইত্যেমধ্যে হাই-টেক পার্ক আয় শুরু করেছে ৫০ কোটি টাকা আয়ও হয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে এখানে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
ঢাকার হাই-টেক পার্ক আইওটি, যশোর হাই-টেক পার্ক এআই প্রত্যেক হাই-টেক পার্ককে আলাদা আলাদা স্পেশালাইজড হাই-টেক পার্ক করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান ডাটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান।
হাই-টেক পার্কে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে আমাদের দেশের মেধাপাচার বন্ধ হচ্ছে বললেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
আগামী বছরের মাঝামাঝিতে বাজারে আসবে মেইড ইন বাংলাদেশ গাড়ি অনুষ্ঠানে এমনটা জানিয়ে ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, হুন্দাই মোটরসের গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির জন্য কাজ করা হচ্ছে। আগামী বছর জুনের মধ্যেই মেইড ইন বাংলাদেশ গাড়ি বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
এই করোনাকালীন সময়ে পৃথিবীর সকল দেশে প্রত্যেক্ষ বিনিয়োগ কমেছে ৪৫ শতাংশ আর বাংলাদেশে মাত্র কমেছে ১১ শতাংশ যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো বললেন ইজেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইসিটি অধিদপ্তরের এটুআই প্রকল্পের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আরফি এলাহি মানিক।