২০২০-২১ অর্থ বছরে সরকারের কাছে ৩টি প্রস্তাব দিয়েছিলো ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। কিন্তু এর একটিও পূরণ না হওয়ায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ। প্রত্যাশা করছেন সংশোধিত বাজেটে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের কাঁচামাল ‘ইন্টারনেট’ সেবাকে ‘মৌলিক’ চাহিদা বিবেচনায় এনে এই সেবাটি মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করেই বাজেট পাশ করা হবে।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট বিলাসীতা নয়। এটি মৌলিক একটি চাহিদা। বাজেটে আমরা সরকারের কাছে ৩টি দাবি করেছিলাম। ইন্টারনেট সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভূক্তি করা; আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন এবং আইএসপি- প্রতিটি স্তরে ভ্যাট সমান ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আমরা যে ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেই সেই ওএনইউ বা ওএলটি’র ক্ষেত্রেও ভ্যাট ৫ শতাংশ করার। কিন্তু এর একটি দাবিও পূরণ হয়নি। এই পর্যায়ে আমাদের কারোরই ইন্টারনেট মূল্য বাড়ানো ছাড়া কোনো গতি থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট প্রসারে একসময় সরকার ডায়ালআপ মডেমের ভ্যাট ও ট্যাক্স অনেক কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিলো। কিন্তু প্রযুক্তি পরিবর্তনের কারণে এখন এই ডায়ালআপ মডেম অচল। এখানে জায়গা করে নিয়েছে ওএনইউ এবং ওএলটি। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি সরকার প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভ্যাট ও ট্যাক্সের কোডগুলো সমন্বয় করবে।