এক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দেড় হাজারেরও বেশি ইন্টারনেট সেবা গ্রাহক। ব্লক এ’র কাছে একটি বৈদ্যুতিক পুলে সকসার্কিট থেকে আগুন ধরে লাইন পুড়ে যাওয়ার পর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন তারা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একটি বিশেষ সংযোগ ছাড়া অন্যকোনো কোম্পানির ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার করলেই এই দুর্ভোগ তাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিকেল ৫টার পর যদি কারো ইন্টারনেট লাইনে সমস্যা হয় তবে বিশেষ ওই প্রতিষ্ঠানটির বাইরে যারা সেবা দেন তাদের পরদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে পুরে যাওয়া লাইন সারতে পারছে না ওই এলকায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে গত শনিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র কাছে একটি নালিশও করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি।
জানাগেছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৪২টি কোম্পানি ইন্টারনেট সেবা দেয়। সব প্রতিষ্ঠান মিলে সেখানে ৫ হাজারের মতো গ্রাহক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর সেখানে বৈদ্যুতিক পিলারে সকসার্কিটের কারণে দেড় হাজারেরও বেশি গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দফায় দফায় ফোন করেও সমস্যার সমাধার পাচ্ছেন না তারা।
এ বিষয়ে আইএসপিবি সাধারণ সম্পাদক জানান, বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে সেখানে দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ সচল করা যায়নি। পুরে যাওয়া তার বদলে সেখানে নতুন করে তার স্থাপনের জন্য তাদেরকে চিঠি দেওয়া হলে কেউ রিসিভ না করে চিঠিটি কেবল রেখে দেয়। এমনটি গত এক সপ্তাহ চিঠির উত্তর দেয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা বিটিআরসি’কে বিষয়টি অবহিত করেছি। আমরা আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
অভিযোগ রয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলকায় সংযোগ দিতে প্রত্যেক কোম্পানিকেই সেখানকার সিকিউরিটি কোম্পানি বাম্বল বি-কে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তারপরও বিকেল ৫টার পরে কোনো সমস্যা হলে সেখানে সংস্কার কাজ করা যায় না। কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে নতুন কোনো সংযোগ দিতে পারছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা আশঙ্কা করছেন, বাম্বল বি কোম্পানির মাধ্যমে একচেটিয়া ক্যাবল টিভির ব্যবসার মতো ইন্টারনেট ব্যবসায়ও একক আধিপত্য বিস্তার করতেই এক সপ্তাহেও সংযোগ ঠিক করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।