ভ্যাট আরোপ করে নয়, প্রত্যাহারেই বরং রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ই-ক্যাব সদস্যরা। তাদের দাবি, ই-কমার্সের ওপর প্রস্তাবিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্রয়-বিক্রয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াবে। সর্বোপরি এই ভ্যাট ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।
একইসঙ্গে অনলাইন পণ্য ও সেবা বিক্রয়কে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ ও বাংলাদেশ গেজেটে (জানুয়ারী ৩১, ২০১৯) প্রকাশিত সংজ্ঞার আলোকে এটিকে স্বতন্ত্র্য সেবা হিসাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। এছাড়াও এই খাতকে নতুন সেবা কোড বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুরোধ করে পূর্বের এস আর ও (S০৯৯.৫০) বহাল রেখে বরাবরের মতো ই-কমার্স খাতের ওপর প্রস্তাবিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এই খাতের জাতীয় সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর কাওরানবাজারস্থ “লা ভিঞ্চি” রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। এসময় আজকের ডিল, বাগডুম, রকমারি, দারাজ, চালডাল, পাঠাও, সেবা এক্সওয়াইজেড, দিনরাত্রি, সিন্দাবাদ, প্রিয়শপ ডটকম প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত হয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইসিটি বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে বাজেটে ই-কমার্স এর সংজ্ঞা পরিবর্তন, ভুল সংশোধন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসের উপর আরোপিত ভ্যাট অব্যাহতি সহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। ই-ক্যাব এর প্রস্তাবনার উপর সম্মতি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগ থেকে দুটি অফিসিয়াল চিঠি এনবিআরের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর পাঠানো হয়েছে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক, ওম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ।
সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন দারাজ সিইও সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক, প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খান, রকমারি.কম প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান সোহাগ ও সিন্দাবাদ ডট কমের প্রধান নির্বাহী জিসান কিংসুক হক।