সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পৌঁছে গেছে ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপ প্রত্যাহারের দাবি। দাবিটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এই দাবিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও।
এদিকে ই-কমার্স হতে ভ্যাট প্রত্যাহারে আইসিটি বিভাগের পর বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে জোর সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার আবেদনটি পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরেও। সকালে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ই-কমার্সের ওপর ভ্যাট কীভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে তা তুলে ধরেছেন।
অন্যদিকে, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন ই-ক্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও সেলের উপপরিচালক শরীফ রায়হান কবির।
চিঠিতে বাজেটে অনলাইন পণ্য ও সেবা বিক্রয়কে আলাদা সেবা কোড এবং ই-কমার্সের উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আগামী ৫ বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদানে ই-ক্যাবের আবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রীর সম্মতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
ই-ক্যাব সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজাটে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ সংজ্ঞায় ঢুকে গেছে ই-কমার্স বা অনলাইন কেনাকাটা। ই-কমার্স উদ্যোক্তারা এতে বিস্মিত, এটা কীভাবে হলো তারা বুঝতে পারছেন না। কেননা, গুরুত্ব বিবেচনায় গত অর্থ বছরেই ই-কমার্স খাত আলাদা সেবা কোডে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিলো।