নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে রায় পেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। প্রার্থী সঙ্কট নিয়েই আগামী ৮ মার্চ ভোটের লাইনে রয়েছে টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন আইএসপিএবি। ভোটের এই আমেজে এবার যুক্ত হলো এই খাতের সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট সংগঠন বেসিস। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে বেসিস কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। জুনের ১৫-২৫ তারিখে অপর সংগঠনের নির্বাচন হতে পারে বলে জানাগেছে। তবে এখনো নির্বাচন কমিশন গঠন হয়নি।
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচ-এর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বেসিস ইসি’র ভোট গ্রহণ। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে যে সদস্যরা চাঁদা পরিশোধ করবেন কেবল তারাই এই নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন।
তফসীল অনুযায়ী, আগামী ২৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মনোনয়ন ফরম বিক্রি। ২০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন বেসিস নির্বাচন কমিশন। এবারের কমিশনে বোর্ড চেয়ারম্যান হয়েছেন টিআইএম নূরুল কবির। সদস্য হিসেবে আছেন সৈয়দ মামনুন কাদের এবং নাজিম ফারহান চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানাগেছে বিসিএস ও আইএসপিএবি’র অভিজ্ঞতা থেকে বেসিস নির্বাচন হতে পারে একটু ভিন্ন। এবার এই ভোটে আসতে পারে তিনটি প্যানেল।
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২২-২৩ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ১১ পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ২৯ জন। তখন রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বাধীন ‘ওয়ান টিম’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলে। সাধারণ, অ্যাসোসিয়েট ও অ্যাফিলিয়েট বিভাগে ১০টি পদের ৬টি জিতেছিলো ‘ওয়ান টিম’–এর সদস্যরা। হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিমের নেতৃত্বাধীন ‘সিনার্জি স্কোয়াড’–এর সদস্যরা জিতেছিলেন ৪টিতে। এরপর বেসিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাসেল টি আহমেদ। জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হন সামিরা জুবেরি হিমিকা।