ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়তে ১০ দফার‘ঢাকা সনদ’ ঘোষণা করলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ঘোষিত সনদে রয়েছে- ডিজিটাল অভিগম্যতায় সমতা আনয়ন; ডিপিআই ও এআই এর শক্তিকে ত্বরান্বিত করণ; বৈশ্বিক সুবিধার জন্য দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে বৈশ্বিক অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয়; অংশীদারিত্ব ও জোট গড়ে তোলা; নর্থসাউথ, সাউথ-সাউথ-নর্থ ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতা; শিক্ষা এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, মিতব্যয়ী উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিকরণ; আর্থিক অন্তর্ভুক্তি; দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রযুক্তিগত ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি এবং লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তির বিষয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুই দিনের ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে দশ দফা সনদের বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. দীপু মনি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিপিআই ও এআই নিয়ে ঢাকা সনদ তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সংশ্লিষ্টদের ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ফলে তথ্যপ্রযুক্তির আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি, উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রাখবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে ডিপিআই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়ার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সেবায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা করছি। আমরা অর্জন করেছি কীভাবে এআই-কে জনসম্পৃক্ত করা যায় তার সর্বোত্তম অনুশীলন। আর তাই আমাদের অর্জন ও অভিজ্ঞতাকে শাণিত করতে প্রতি বছর ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ আয়োজন করা হবে।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের সমাপনী দিনে ই-কমার্স খাত, ফিনটেক, পাবলিক সার্ভিস ডিজিটাইজেশন, এডুটেক, স্বাস্থ্যসেবা, গ্রীন ইকোসিস্টেম উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ক ৬টি সেশন/সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রযুক্তি খাতের নেতা, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বেসিস পরিচালক আহমেদুল হক বাবু, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বাক্কো’র অর্থ সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক এবং অ্যামটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বক্তব্য রাখেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লাই সেক এবং আইসিটি সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী ও অনুজীব বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও বিশ্বয়ানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজনীয়তা ও প্রভাব নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ইউনেস্কোর সহকারী মহা-সচিব গ্যাব্রিয়েলা রামোস এবং ইউএনডিপি-র চিফ ডিজিটাল অফিসার রবার্ট ওপ।