তথ্যপ্রযুক্তির ৫ সংগঠন-কে জড়িয়ে জাতীয় সংসদের এটুআই বিল উত্থাপনের বিরোধিতা করে ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম মিথ্যাচার করেছেন বলে নিন্দা জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে বুধবার রাতে জরুরী অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেসস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, মহান জাতীয় সংসদে আমাদের নাম বলে গতকালও আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করাটা ডাহা মিথ্যা। গত বছরের ৩০ মে দেয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং বলেছেন ‘আমরা চিঠির দাবি থেকে এক চুলও সরে আসিনি’। এবং তিনি ‘সংসদে আসার আগেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন; তা পুরোপুরি মিথ্যা। এটা আমাদের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আগামীকালই বিষয়টি অবহিত করে আমরা অবশ্যই স্পিকার বরাবর চিঠি দেবো।
তিনি আরো বলেন, আলোচনা ভিত্তিতে আইনটি সংশোধন আনা হয়েছে। তাই এই ধরণের বক্তব্য ভিষণ মাত্রায় হতাশাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, সংসদ সদস্যের কথায় আমরা লজ্জিত। আজ নয়; কখনোই ওনারা সাথে আমাদের কোনো কথা হয়নি।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেছেন, আমরা উনাকে চিনি না। উনি যা বলেছেন তা ডাহা মিথ্যা কথা।
একইভাবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন ই-ক্যাব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা এবং বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর এটুআই বিলে বিস্তারিত আপত্তি বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুনে তা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একই স্থানে উপস্থিত বেসিস, বাক্কো এবং আইএসপিএবি সভাপতি। তবে উত্থাপিত বিল সম্পর্কে তারা এখনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের এটুআই বিল নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর টেবিলে উপস্থাপননের সময় এটুআই আইন হলে এটুআইকে সরাসরি বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সুযোগ পাওয়া এবং অর্জিত সম্পত্তি বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলে তা স্থানীয় তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিকাশে বাধাগ্রস্ত করবে। এসময় তিনি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে ৫ সংগঠনের পক্ষে দেয়া চিঠি দেখে পাঠ করেন।