বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশেও গোলাপি চাঁদের দেখা মিলেছে। চাঁদ দেখতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয় শক্তিশালী টেলিস্কোপ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পরবর্তী দুই ঘণ্টা টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অবলোকন করেন এই চাঁদ।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখো গেছে বিশেষ রঙের এ চাঁদ। দেশের আকাশে দেখা যাওয়া গোলাপি রঙের চাঁদের ছবি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন।
অবশ্য বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ। তবে বাংলাদেশের আকাশে আজই তা উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সিএনএন এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়েছিলো, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আকাশ ‘গোলাপি চাঁদে’ উজ্জ্বল থাকবে। তবে শনিবার চাঁদের ঔজ্জ্বল্য সবচেয়ে বেশি থাকবে।
‘দ্য ওল্ড ফারমার্স অ্যালম্যানাক’ গ্রন্থের তথ্য অনুসারে, উত্তরপূর্ব আমেরিকায় বসন্তকালে গোলাপি রঙের বনফুল ‘ফ্লক্স সুবুলতা’ ফোটে। এর সঙ্গে চাঁদের মিল খোঁজা হয়। উদ্ভিদটি সাধারণত ক্রিপিং ফ্লোক্স, মস ফ্লোক্স বা মাউন্টেন ফ্লোক্স নামে পরিচিত।
‘গোলাপি’ চাঁদের সঙ্গে খ্রিষ্টীয়, হিন্দু ও বৌদ্ধসহ বেশ কয়েকটি ধর্মের উৎসবের যোগসূত্র রয়েছে উল্লেখ করে সিএনএন আরও জানায়, শ্রীলঙ্কায় গোলাপি চাঁদ বা ‘বক পয়া’ দ্বীপদেশটিতে গৌতম বুদ্ধের আগমনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। হিন্দু ধর্ম মতে, গোলাপি চাঁদ হচ্ছে ‘হনুমান জয়ন্তী’।
তবে এপ্রিলের এই গোলাপি চাঁদকে ‘সুপার মুন’ বলা যাবে না। আবহাওয়া পূর্বাভাস, জ্যোর্তিবিদ্যা ও বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত গ্রন্থ ‘দ্য ওল্ড ফারমার্স অ্যালম্যানাক’-এর মতে, এপ্রিলে পূর্ণিমার চাঁদ বিবর্ণ হলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
সিএনএনের আবহাওয়াবিদ জাডসন জোনস জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে। সেখানে বিবর্ণ চাঁ দ দেখা যাবে।