বিশ্বে ইন্টারনেট গতির তুলনামূলক চিত্রে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে সাত ধাপ এবং ব্রডব্যান্ড গতিতে তিন ভাগ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দেশে এখন মোবাইলে গড় ডাউনলোড গতি ১৩.৯৫ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ৯.২০ এমবিপিএস। অপরদিকে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারেনেটে ডাউনলোডে ৩৪.৮৫ এবং আপলোডে ৩৪.৪১ এমবিপিএস। মোবাইলে ল্যাটেন্সি ২৮এমএস এবং ব্রডব্যান্ডে মাত্র ৫এমএস।
সবমিলিয়ে পৃথিবীর ১৮০টি দেশের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০২ এবং ১৪২টি দেশের মধ্যে মোবাইলে ১১৯তম।
এই তালিকায় বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ। তালিকার একদম শেষে রয়েছে কিউবা।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি ২০২৩) প্রকাশিত ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গত একবছরের ফলাফল অনুযায়ী, গড় গতির হিসেবে পৃথিবীতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষে রয়েছে কাতার। দেশটিতে গড় ইন্টারনেটের গতি ১৭৬.১৮ এমবিপিএস।
ওকলা গ্লোবাল ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, কাতারের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউনাইটেড আরব আমিরাত। দেশটিতে গড় মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১৩৯.৪১ এমবিপিএস। তৃতীয় অবস্থানে আছে নরওয়ে। তাদের ইন্টারনেটের গতি ১৩১.৫৪ এমবিপিএস।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে গড় ইন্টারনেটের গতি ১১৮.৭৬ এমবিপিএস। ডেনমার্ক রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তাদের মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ১১৩.৪৪ এমবিপিএস।
অনদিকে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে শীর্ষে রয়েছে চিলি। দেশটিতে গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি ২১৬.৪৬ এমবিপিএস। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। যেখানে ২১৪.৫৮ এমবিপিএস গতিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট উপভোগ করা যায়। সিঙ্গাপুর রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটির গড় ইন্টারনেটের গতি ২১৪.২৩ এমবিপিএস।
স্পিডটেস্ট গ্লোবাল সূচকের এই বিন্যাসটি মাঝারি ডাউনলোডের গতির মিডিয়ান সূত্রেও উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সেবাকে প্রতিফলিত করে। এক্ষেত্রে মোবাইল বা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড যেকোনও ক্যাটাগরিতে র্যাঙ্ক করার জন্য লোকেশনের কমপক্ষে ৩০০টি স্বতন্ত্র্য ব্যবহারকারীর ফলাফল থেকে ডেটা নেয় ওকলা।