গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন বছরের প্রথম দিন, রোববার কমিশন সভায় এ নিয়ে ইতিবাচক মত এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, শিগগির এ বিষয়ে অপারেটরটিকে চিঠি দেয়া হবে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রামীণ ফোনকে সিম বিক্রির অনুমতি প্রদানের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সচিব মো. নুরুল হাফিজ একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, “গ্রামীণফোনকে সিম বিক্রির অনুমতি প্রদান বিষয়ে কমিশনের কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। সবশেষ কমিশন মিটিং-এ এর ধরনের কোন আলোচনাও হয়নি।
ফলে কিছু কিছু গণমাধ্যমে ‘গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’ নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে সেবার মানের প্রশ্নে গত বছরের ২৯ জুন গ্রামীণফোনের সব রকমের সিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলো বিটিআরসি। এরপর ১৩ লাখ রিসাইকেল সিম বিক্রির অনুমতি দিয়ে কিছুদিন পর তা আবার প্রত্যাহার করে নেয় নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর-প্রতিষ্ঠানে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমতি দেয়া হয় গ্রামীণফোনকে।
এরমধ্যে ২০২২ সালের ২৫শে নভেম্বর বিটিআরসিকে দেয়া এক চিঠিতে সেবার মানোন্নয়নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুত কেপিআই (কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) পূরণ করার কথা জানায় অপারেটরটি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে দেয়া ওই চিঠিতে গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান বলেছিলেন, সেবার মান্নোয়নে বিটিআরসির দেয়া কেপিআই এবং গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিটিআরসির পরামর্শ অনুযায়ী মানোন্নয়ন করে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ অবস্থা জানানো হয়। আরও মানোন্নয়নের প্রয়োজন হলে যৌথ ড্রাইভ টেস্ট করে তা যাচাইয়ের কথাও তখন বলেছিলেন গ্রামীণফোন সিইও।