চলতি বছরের বিদায়ী নভেম্বর মাসে ব্যান্ডউইথ তথা ডাটার ব্যবহার হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৯ জিবিবিএস। আর এর আগের মাস অক্টবরে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিলো ১২ কোটি ৬২ লাখ। ওই সময়ে মোবাইল সিম গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১৮ কোটি ১৬ লাখ। সব মিলিয়েও সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী দেশের ইন্টারনেট ডেনসিটি ১০৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এই তথ্য দিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান এমটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম ফরহাদ (অবঃ) এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিটিআরসি প্রধান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায়, সেগুলো আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে সহায়ক হয়। গণশুনানিতে অনেক অজানা প্রশ্ন উঠে আসে যা গ্রাহক জানতে পারে। সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।
গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রতিটি গণশুনানি প্রতিষ্ঠানের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ায় এবং গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে আর কতটুকু উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে কাজ করবে বিটিআরসি।
গণশুনানি সংক্রান্ত উপস্থাপনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে এই গণশুনানিতে অনলাইনেও অংশ নেন গ্রাহকরা। গণশুনানিতে অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৮৪৮ জন, এর মধ্যে সশরীরে ১৮২ জন, অনলাইনে ৯৪ জন এবং অন্যান্য মাধ্যমে ১৭ জন অংশ নেন।
গণশুনানিতে কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আউয়াল উদ্দীন আহমেদ এবং বিটিআরসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।