ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডবে আক্রান্তের ৬ দিনেও সচল করা যায়নি ২৬টি মোবাইল সাইট। তবে দিন তিনেকের মধ্যে সচল হয়েছে এনটিটিএন, আইআইজি, আইএসপি এবং বিটিসিএল’র অচল হওয়া পয়েন্ট অব পেজেন্স (পপ)।
বিটিআরসি’র রাউন্ডআপ প্রতিবেদন বলছে, সিত্রাং প্রভাবে ২৫ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত অচল হয়েছিলো ৭ হাজার ৩৪২টি মোবাইল সাইট। এছাড়াও এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫৩টি, ৯৯টি আইএসপি এবং বিটিসিএল’র ৩২টি পপ অচল হয়ে যায়। তবে ৩১ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে ২৬টি মোবাইল সাইট ছাড়া সংযোগগুলো সচল হয়েছে।
এর আগে বিটিআরসি জানিয়েছিলো, ২৬ অক্টোবর রাত ১০টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৩১টি মোবাইল টাওয়ার সচল করা গেলেও এক হাজার ১৭৬টি টাওয়ার সচলের কাজ চলমান ছিলো।
সিত্রাং তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক, দেশকে সচল রেখেছে ব্রডব্যান্ড
সেই সময়ে গ্রামীণফোনের মোট ৪৭১৮ সাইটের মধ্যে অচল হওয়া ২৮৬৩টির ৬৯০টি সচল করা সম্ভব হয়েছিলো। রবি আজিয়েটার হাতে থাকা ৫০৩২টি সাইটের মধ্যে অচল ২৪৯১টির মাত্র ৫৭৪টি সচল হয়েছিলে।
এছাড়াও বাংলালিংক এর ২৯৩৭টি সাইটের মধ্যে আক্রান্ত ১৩৭৮টির ২০টি এবং রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিটকের ১২১৫টি সাইটের মধ্যে ২৪৪টি ২৮ ঘণ্টার মধ্যেই সচল হয়েছিলো।
বিপরীতে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনের ৩৫২টি পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ) বন্ধ ছিলো। আর এর অধিকাংশ থেকেই মোবাইল অপারেটররা সেবা নিয়ে থাকায় ইন্টারনেট সমস্যা দেখা দিয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, আঘাত হানার আগেই খুদে বার্তায় গ্রহকদের সচেতন করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি’র মাধ্যমে অপারেটরদের সতর্ক করেছিলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ১৯ জেলায় অবস্থিত ১৩৯০২টি সাইটের মধ্যে ৭ হাজার ৩৪২ সাইটের ৬ হাজার মোবাইল টাওয়ার ডাউন হয়ে যায়।