অবশেষে আড়াই মাস পরে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এসে আবারও সিম বিক্রির সুযোগ পেলো গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। নেটওয়ার্ক অপারেটরটির ওপর সিম বিক্রিতে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পুরোনো সিম বিক্রি করোর সুযোগ পেলেও নতুন সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। ফলে গ্রামীণফোন নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না।
সেবার মান উন্নত হওয়ার পর গ্রামীণফোনকে নতুন সিম বিক্রির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রামীণফোন তাদের কাছে থাকা অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ পাবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গ্রামীণফোনকে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার পর গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটেও এখন সিম বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য দেখা যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর পরে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে সিম কেনার সেকশনে গেলে “No Matching Product Found” লেখা আসত। কারণ তখন সিম বিক্রি বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন জিপির ওয়েবসাইটে সিম সেকশনে গেলে আবারও সিমের বিভিন্ন বর্ণনা দেখা যাচ্ছে। এমনকি অনলাইনে সিম অর্ডার করার অপশনও চালু হয়েছে।
তবে সিম বিক্রি স্থগিত হওয়ার আগে নতুন গ্রামীণফোন সিমের দাম ছিল ২০০ টাকা। কিন্তু এখন থেকে নতুন জিপি সিমের দাম হচ্ছে ৩০০ টাকা। গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে এই তথ্য দেখা গেছে।
জিপির ফেসবুক পেজে বিভিন্ন কমেন্টে জানানো হয়েছে “গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটাতে পূর্বে অনুমোদিত কিছু গ্রামীণফোন নম্বর এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু দোকানে পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে বিক্রয় প্রতিনিধির কাছে একদম নতুন সিম (যা আগে কেউ কোনদিন ব্যবহার করেনি) এবং রিসাইকেল সিম, এই দুই ধরণের সিম ই ক্রয় করতে পারবেন। এই দুই ধরনের সিম আলাদাভাবে চিহ্নিত করার উপায় বিক্রয় প্রতিনিধির কাছে নেই। জানিয়ে রাখছি, গ্রামীণফোনের বিভিন্ন প্যাক / প্রোডাক্ট / সার্ভিস এর সুবিধা সরলীকরণ এর অংশ হিসেবে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে নতুন সিম এর মূল্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে অনুরোধ করছি।”
প্রসঙ্গত, গত জুনের শেষ দিকে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিটিআরসি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে কোনো ধরনের সিম বিক্রি করতে পারেনি।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত জুলাই মাস শেষে মুঠোফোনের সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১৮ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৭ লাখ কম। দেখা যাচ্ছে, সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার পর গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে।