ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে ২৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প উপস্থাপন করেছিলো ডাক ও টেলোযোগাযোগ বিভাগ। তবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে করা এই প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছেন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ইক্যুইপমেন্ট বিদেশ থেকে ডলার দিয়ে কিনতে গেলে ডলার সাশ্রয়ের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হবে এই বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দেশজুড়ে টেলিটক এর ফোরজি সেবার মান আরো উন্নত ও নিরবিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,‘আমরা কৃচ্ছ্রতা সাধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ব্যয় ফরেন কারেন্সির (বিদেশি মুদ্রা) মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। তাই এটা স্থগিত করা হয়েছে। এটা পরে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য একনেক সভায় বৈদেশিক ঋণ খুঁজতে বলা হয়েছে।’।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন টেলিটকের ফাইভ-জি প্রকল্প এখনই দরকার নেই। তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে টেলিটকের ফাইভ-জি দরকার নেই। ফোর-জি গ্রাম ও হাওর এলাকায় সার্ভিস পাচ্ছে না। ফোর-জি আগে আপডেট করো, তারপর ফাইভ-জি। এই মুহূর্তে ব্যয় সংকোচন করছি।’
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন আল রশীদ বলেন, টেলিটকের ফোরজি পুরোপুরিভাবে সফল হয়নি। তাই আগে ফোর-জি পরে ফাইভ-জি। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ রিজার্ভ থেকে দিয়ে আমদানি করতে হবে। তাই বিদেশি সোর্স থেকে নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল জুলাই ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ নাগাদ। প্রকল্পের অধীনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গণভবনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি গূরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ, মোহাম্মদপুর, শের-ই বাংলা নগর, বনানী, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও উত্তরা থানা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বঙ্গভবন ও সচিবালয়সহ মতিঝিল, রমনা, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা ৫জি নেটওয়ার্কের অধীনে আনতে চেয়েছিলো অপারেটরটি।