বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের মানদণ্ড নিয়ে ওকলা ও ওপেন সিগনালের প্রতিবেদনের প্রক্রিয়া ও বৈধতা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। রোববার সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনাতন হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর আমরা দেখেছি ওকলা প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্বে সেবার মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়া দেশ। যা ১৩৯টি দেশের মধ্যে ১৩৭তম। গত ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর গ্রামীণ ফোনের সেবার মান সর্বনিম্ন ঘোষণা দিয়ে সরকার গ্রামীণ ফোনের নতুন করে সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু দু’দিন আগে দেখা যায়, হংকংয়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ওপেন সিগন্যাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে এই সার্টিফিকেট আনতে কীভাবে কত টাকা প্রদান করা হয়েছে এবং গ্রাহকদের তথ্য অধিকার নিশ্চিত না করে সরকারের সাথে কোন প্রকার চুক্তি বা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের জবাবদিহিতার বাইরে থেকে এই ধরনের একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করল তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই-এই সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে গ্রাহকদের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং গ্রাহকদের মাঝে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না তা সরকারকে দেখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা প্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহা বলেন, এই সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন প্রদানের মানদণ্ড সঠিক নয়। তারা কখনোই ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে এ দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ফেসবুক ইউটিউব কখনো গ্রাহকের তথ্য অন্যের কাছে হস্তান্তর করে না। তাই তারা গ্রাহকের ডিভাইসে প্রবেশ করে যদি স্যাম্পল সংগ্রহ করে থাকে তাহলে তা হবে ডাটা প্রাইভেসি লংঘন এবং আইনত অপরাধ। সরকারকে বিষয়টি হালকাভাবে দেখলে চলবে না। তিনি আরো বলেন, বিটিএস টাওয়ারগুলিতে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে এসকল প্রতিষ্ঠান বিদেশে বসে তথ্য সংগ্রহ করছে কিনা সেটিও তদন্তে দেখা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর প্রকৌশলী মো. আবু সালেহ। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু বক্কর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় সদস্য এড. সাহেদা বেগম ও মিতা রহমান, প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু প্রমুখ।