নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি পরিবর্তিত আইএসপি গাইড লাইন অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধনে সকল সদস্যদের মতামত গ্রহণ করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। নতুন আইনে আইএসপি সংস্থাগুলোর লাইসেন্স পূনর্বিন্যাস করে ক্যাটাগরি লাইসেন্স বাদ দিয়ে থানা/জেলা/বিভাগীয়/দেশব্যপী বিন্যাসে নিয়ে আসায় সংঘবিধিতে ক্যাটাগরি ও জোনাল লাইসেন্সধারি সদস্যদের সঙ্গায়ন এবং সংগঠনে তাদের ভূমিকা ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা হয় এই সধারণ সভায়।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা। এতে সাধারণ, সহযোগী এবং সিকোয়াব সদস্য সহ ৩০ জন আইএসপি ব্যবসায়ী নিজেদের মত তুলে ধরেন।
মুক্ত আলোচনায়, নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, ক্যাটাগরি লাইসেন্সধারী সদস্যরা থানায় রূপান্তরিত হওয়ায় তারা সহযোগি থেকে সাধারণ সদস্য হওয়ার দাবি তোলে। এছাড়াও জোনাল লাইসেন্সধারীদের ডিভিশন এর অধীনে আনার প্রস্তাব আসে। তাহলে জেলা ক্যাটাগরিতে কারা থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সব মিলিয়ে সভায় বেশ কিছু বিষয়ে মতদ্বৈততা দেখা দেয়।
সভায় বেশ কিছু সাংঘর্ষিক প্রস্তাব ও মত আসায় এখন সেগুলো যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণ ও বর্জন করা হবে বলে জানান, সভার সভাপতি ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়গুলো সংঘবিধি এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এজন্য আমরা সব পক্ষের মতামত নিতে এই বিশেষ সভা করেছি। এখন তাদের মতামত স্কুটিনি করে লিগ্যাল ভেটিং, ডিটিও এবং প্রয়োজনে বিটিআরসি’র সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্গা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর পুরো বিষয়টি ইজিএম করে পাশ করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান ইন্টারনেট সেবাদাতাদের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আইআইজি/এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠানকে আইএসপিএবি’র সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির দাবি করা হয়। এছাড়াও সকল শ্রেণী বা লেয়ারের সদস্যদের বাৎসরিক ‘সাধারণ সদস্য’ ফি কমানো, প্রত্যেক লেয়ার থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, একসদস্য-এক ভোট, পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বিটিআরসি’র মাধ্যমে পপ স্থাপনের নীতি বাতিল এবং নিয়োগকৃত পপ প্রতিনিধিদের ছবিযুক্ত নিয়োগত্র, লাইসেন্স ও ভ্যাট-ট্যাক্সের কপি দেয়ালে টানানোর বাধ্যবাধকতা দাবি করা হয়।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সবার মতামত শোনার পাশাপাশি নিজেদের অভিমতও ব্যক্ত করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি আনোয়ারুল আজিম, মো. আবদুল কাইউম রাশেদ; যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান এবং পরিচালক মো. জাকির হোসাইন, মাহবুব আলম, সাকিফ আহমেদ, এ এম কামালউদ্দীন আহমেদ সেলিম, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও মো. নাসিরউদ্দিন।
এতে সি কোয়াব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মিঠু ও জুলফিকার সহ এল বি নিউ সাধারণ সম্পাদক সুমন সহ আরো ১০ জন সদস্য; ইন্টারনেট সমিতির প্রতিনিধি মো: সেলিম সহ ৫ জন নারায়ণগঞ্জ থেকে মো তুর্য সহ ৩ জন; আইটি পল্লি পরিবারের সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন রানাসহ আরো ৭ জন; খুলনা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জোবায়ের, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির রোমেনস; ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কমিটির সদস্য মো: তৌহিদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে দায়িত্ব গ্রহণের পরের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইএসপাএবি সভাপতি ইমদাদুল হক। এ সময় অচিরেই আইএসপিএবি নিজস্ব ঠিকানায় যাচ্ছে বলেও আভাস দেন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া। এছাড়াও সংগঠনকে সদস্যবান্ধব রাখতেই আগামী ডিসেম্বরের মাঝামিাঝি সময়ে বার্ষিক বনভোজন ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই নেতা তিনি বলেন, আমরা ২৪\৭ দিন দেশের সকল আইএসপি মালিকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অফিসের জন্য নিজস্ব জায়গা নেওয়ার চেষ্টা চলছে ঐ সময় সকল সদস্যদের কাছ থেকে অফিস এর জন্য অর্থ চাওয়া হতে পারে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই সবাই এ সময় এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।