প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ ২০ শতাংশের মতো বাড়বে এবং এই বাজেট ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল শক্তিকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
বাজেট পাশ পরবর্তী সময়ে এই খাতে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে এতদিন গ্রাহককে উৎসে কর বা অগ্রিম কর (এআইটি) দিতে হতো না। এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় গ্রাহকের ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটা মূলত ব্যবসায়িদেরকেই দিতে হয়। ব্যবসা না হলেও আগাম এই খরচ মরার ওপর খাড়ার ঘা। মূলত করপোরেট গ্রাহকরা হয়তো সরাসরি এটা দিতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হবে বাসাবাড়ির গ্রাহকদের। একই ভাবে অপটিক্যাল ফাইবার অপটিকসের ওপরও ১০ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক ধার্য করায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের গতি বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। সব মিলিয়ে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ বাড়বে ২০ শতাংশের মতো।’
তিনি আরো বলেন, গ্রাহক মাসে এক হাজার টাকা বিল দেওয়ার সময় ১০০ টাকা কেটে রেখে নিজে পরিশোধ করতে পারেন, বা আইএসপিএকে দিয়ে দিতে পারেন। আইএসপিগুলো চালানের মাধ্যমে সরকারকে দিয়ে দেবেন।’
বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক মন্তব্যে গত ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ডিজিটাল টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাজেটের টেলিকম খাতের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে মনে করছেন এই নেতা। তিনি বলেছেন, বৈঠকে ইন্টারনেট সেবাকে আইটিইএস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। অথচ বাজেটে কোথাও তার প্রতিফলন ঘটেনি। এটা প্রকারান্তরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে।
তবে এখনো সরকারের ওপর আস্থা রেখে তিনি মনে করছেন, বাজেট পাশ হওয়ার আগে উল্লিখিত সমস্যগুলোর সমাধান করে ইএসপিগুলিকে কর্পোরেট ট্যাক্স থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে সস্তা করে তুলবে। ‘কেননা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে প্রকারান্তরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে। সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডিজিটাল বাণিজ্য, আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং, আইটিইএস রপ্তানি ইত্যাদি সহ নতুন নতুন ব্যবসা তৈরি করতে সহায়তা করবে’ বলে মন্তব্য করেন আইএসপিএবি সভাপতি।