ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতায় দেশের বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত পারদর্শী বলে গৌরব প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার । তিনি বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মেধা সৃজনশীলতা এবং কর্মক্ষমতা পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত’।
ডিজিটাল যুগে পড়ালেখা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প থাকবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত ও দূর্গম এলাকাসহ দেশের সর্বত্র দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই দূর্গম পাহাড় ও হাওরে ইন্টারনেট ভিত্তিক আউট সোর্সিং শিল্প গড়ে উঠার পাশাপাশি ডিজিটাল শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি সফটওয়্যার এখন বিশ্বের ৮০টি দেশে রপ্তানিও হচ্ছে।’
এসময় দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে দেশি সফটওয়্যার শিল্পকে বিকশিত করতে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সোমবার ঢাকায় শিল্প কলা একাডেমি মিলনায়তনে দেশীয় রাইড শেয়ারিং দ্য বোরাক-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা্য় এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আজ থেকে ৩৫ বছর আগেও এ দেশে কম্পিউটার ব্যবহারের একজন মানুষও পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রনায়ক বলেন, হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ৬৪ সালে এ অঞ্চলে প্রথম কম্পিউটার আসে এবং ১৯৮৭ সালের পর কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের পর কম্পিউটার বিকাশের অভিয়াত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করার পর কম্পিউটার সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছুতে শুরু করে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, ইউপিইউ ও আইটিইউ‘র সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তার ফসল। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ গত সাড়ে তের বছরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোাস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে দ্যা বোরাক সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম বিপ্লব এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেজর অব: রাকিব হাসান বক্তৃতা করেন।