আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তিনি বলেছেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য। তাই এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫জি উদ্বোধন করা হলেও আগামী মার্চে বাণিজ্যিক ভাবে ে৫জি চালু করা হবে।
বুধবার ঢাকায় একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত অ্যাকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লুশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান মন্ত্রী ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি জনাব হাসানুল হক ইনু -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক মো; নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯ -এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সচেতনতা এবং প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবেলা করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি। এই ঝুঁকি মোকাবেলা করেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আট বছর পর ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি ঘোষিত হয়।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০০৮ সালের ডিজিটাল কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থনৈতিক অগ্রগতির অপরিহার্য অঙ্গ।
তিনি বরাবরের মতোই ইন্টারনেটকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।