আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পদ্ধতিগত পরিবর্তন অপরিহার্য উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শোরুম ভিত্তিক ব্যবসা–বাণিজ্যের দিন প্রায় শেষ। করোনা অতিমারি ডিজিটাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছে।
এজন্য পরিবর্তনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বাবান জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনে আইটি প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্কট ও তা থেকে উত্তরণ নিয়ে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংযুক্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি এই আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি সারা পৃথিবী মোকাবেলা করছে , ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তি ডিভাইস ছাড়া সরকারি –বেসরকারিসহ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চলছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেলিকম, ইন্টারনেট ও ডাক সার্ভিসকে সরকার সে বিবেচনায় জরুরি সেবার আওতায় রেখেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর আওতায় আনতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে বিসিএসকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিসিএস এর একটি বিকল্প প্লাটফর্ম থাকা উচিৎ। এক্ষেত্রে দেশব্যাপি ডাক বিভাগের ৯হাজার অফিস ও বিশাল জনবলকে কাজে লাগাতে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন বি্সিএস এর চার বারের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান, সামনে প্রয়োগ হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপান্তরিত হবে ডিজিটাল ডিভাইস।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইসের বাজার অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী আছে, তাদের প্রত্যেকের ডিজিটাল ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। কাজেই বাজার কৌশলেও পরিবর্তন আনতে হবে।
এসময় ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মনিরের সভাপতিত্বে সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোজাম্মেল বাবু, বিসিএস নেতা সাফকাত হায়দার, সবুর খান, মনিরুল ইসলাম, মুজাহিদ আল রিরুনী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
ভার্চুয়াল এই অনু্ষ্ঠানে বিসিএস এর ময়মনসিংহ, যশোর, চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং খুলনা শাখার প্রতিনিধিগণ বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্ক তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।