চিরায়ত নিয়মে ঘণ্টা বাজিয়ে লেনদেন শুরুর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুঁজিবাজারের যাত্রা শুরু করলো রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বৃহস্পতিবার প্রথম ট্রেডিং এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয়েছে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসএই) অফিসে।
অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী সানাউল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী, রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারি সাহেদ আলম, আইএলডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ খান, ডিএসই ও রবি’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডার থেকে সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন বিকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ঢাকা অফিসে আরো একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবির এমডি ও সিইও মাহতারব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে যখন পা দিচ্ছে বাংলাদেশ, ঠিক তখনি সর্ববৃহৎ আইপিও নিয়ে দেশের শেয়ার বাজারে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই রবি দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে; আর আজ থেকে আমাদের স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে জড়িত হলো রবি’র ভবিষ্যত। আমি আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের এটা নিশ্চিত করতে পারি যে, আমরা সঠিক ডিজিটাল ভিশন নিয়েই এগুচ্ছি। এই ভিশন পূরণে আমরা গড়ে তুলেছি এক দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পরিষদ। এর মানে এই নয় যেসব সম্ভাবনা রাতারাতি বাস্তবে রূপ নেবে। আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি ডিজিটাল ভিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। সময়ের সাথে সাথে দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটবে, আমরাও পৌঁছাবো আমাদের ভিশনের দ্বারপ্রান্তে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প আমাদের চলার পথকে নিঃসন্দেহে আরো সহজ করে দিয়েছে। দেশে যেভাবে ডিজিটাল লাইফস্টাইলের প্রসার ঘটছে তাতে আমাদের বিশ্বাস বর্তমানে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের অগ্রগতিতে যে রেগুলেটরি বাধাগুলো রয়েছে তা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। বিশ্বমানের কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে রবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”