ব্যবস্থাপনা পর্ষদের ‘বে-আইনি’ সিদ্ধান্তের আপত্তি জানিয়ে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে টানা আড়াই ঘণ্টা ধরে মানববন্ধন করলো গ্রামীণ ফোনের কর্মীরা। গ্রামীণফোন কর্মীরা ছাড়াও ইউনিগ্লোবাল বাংলাদেশের লিয়াজো কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা কামাল, উত্তরা ব্যাংকের শ্রমিক ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল মুতালেব,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি এস,এম,আহসান হাবিব (বুলবুল), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কর্মচারী ইউনিয়ন এর জেনারেল সেক্রেটারি আহসানাউল্লাহ প্রমুখ মানববন্ধনে যোগ দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আহ্বানে দুই শতাধিক কর্মী জিপি হাউজের সামনে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করে।
কারণ দর্শানো ছাড়াই দর্শানো ছাড়াই চাকরিচ্যুত গ্রামীণফোনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ও ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন আগামীকাল মঙ্গলবারও অনুষ্ঠিত হবে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে রোববার ‘জিপি হাউস বন্ধ’ থাকার কারণ দেখিয়ে সেখানে কোনো সমবেত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কর্মীদের একটি সতর্ক মেইল দিয়েছে গ্রামীণ ফোন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
তবে এই মেইলকে ‘মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আই.এল.ও কনভেনশন এবং শ্রম আইন এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছে মানববেন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
বিক্ষুব্ধ কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সকল ইউনিয়নের সদস্য ও নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করে লাভ নেই।
আজকের মানব বন্ধনে সকলের সতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শুভবোধের উদয় ঘটাবে প্রত্যাশা করে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক বলেছেন, এ ধরনের হুমকী-ধামকি ও আইন বহির্ভূত কাজের জন্য গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের বিনীত অনুরোধ ও জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে গ্রামীণফোন যা করছে তা বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী বলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।