দেশজুড়ে এক দরে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না রাষ্ট্রীয় টেলেসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই গড়ে ১২ গিগাবাইট করে ইন্টারনেট চাহিদা বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির।
গ্রাহক চাহিদা সামাল দিতে গত তিন মাসে বিটিসিএলকে ৪০ গিগা অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ কিনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.মোঃ রফিকুল মতিন।
গত আট মাসের হিসাব অনুযায়ী, বছরের প্রথম মাসে ২৩৭ গিগাবাইট ব্যবহৃত হলেও আগস্টে প্রতিষ্ঠানটির ব্যন্ডউইথ যোগানের পরিমাণ বেড়েছে ১০০ গিগাবাইট।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির গতি-প্রকৃতি বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪০ জিবি, মার্চে ২৪৫ জিবি, এপ্রিলে ২৫৪ জিবি, মে মাসে ২৬৩ জিবি, জুনে ২৮১ জিবি, জুলাই মাসে ৩১৪ জিবি এবং গত আগস্টে ৩৩২ জিবি ব্যান্ডউইথ বিক্রি করেছে বিটিসিএল।
এলএলআই এর পাশাপাশি জিপন সেবাতেও চাহিদা বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটের খুচরা ও পাইকেরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এমওটিএন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে ভূগর্ভস্থ সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ মোঃ রফিকুল মতিন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই বনশ্রী ও চট্টগ্রামে ভূগর্ভস্থ ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করে বিটিসিএল। এখন রাজধানীর উত্তরায় এইচডিডি’র কাজ শুরু করেছে। শেরেবাংলা নগরেও ভূগর্ভস্থ সংযোগের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে রাজধানীর সব জায়গায় আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলিং সম্ভব হবে না। তাই নতুন করে কাজ চলছে। এমওটিএন প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি স্থানে পাঁচটি বাড়ির সামনে একটি করে ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট থাকবে সেখান থেকেই ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হবে।