চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কায়িক শ্রমের সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযোগ ঘটিয়ে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আর এটা করতে না পারলে দেশে এবং দেশের বাইরে কায়িক শ্রমে নিযুক্ত মানুষগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী আজ শনিবার ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ সোস্যাইট ফর হিউম্যান রিসোর্স এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল জব ফেস্টিভালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেছেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস সভাপতি শহীদ উল মুনির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, সেক্রেটারি জেনারেল তৌহিদ হোসেন এবং ড্যাফোডিল পরিবারের স্কিল জব বিষয়ক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এই ডিজিটাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
বক্তব্যে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ঘাটতি পূরণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য উচ্চ শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকার মোস্তাফা জব্বার।
করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শতগুণ বেড়ে যাবে মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এ সময় দেশের আইসিটি খাতের ৫টি সংগঠনের জন্য বেশি সুযোগ তৈরি হবে।
ভার্চুয়াল কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখন যে যে পেশাতেই থাকেন না কেনো সে যদি ভার্চুয়াল বৈঠক পরিচালনা বা এতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন তাহলে তাকে ডাইনোসার হওয়া ছাড়া বিকল্প রাস্তা থাকবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাসব্যপী এই ফেয়ারে চাকরি উৎসবে ২ হাজার ২০০ প্রার্থী তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। ১ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন। প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তিনটি পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে ছয়টি গ্রুমিং সেশনে অংশ নেন। পরে এসব প্রার্থী ৩৯টি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখি হন। যাচাই-বাছাই শেষে ৬০৮ প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক প্রার্থীর কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।