আসন্ন ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক-ভ্যাট আদায় করা তিনটি খাতের অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে মোবাইল সেবা। এটি ব্যবহারে গ্রাহক পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক বাড়তে পারে আরো ৫ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানাগেছে, করোনায় মোবাইল খাতের আয়ে বেশি প্রভাব না পড়ার বিবেচনায় এই খাতে শুল্ক-কর কিছুটা বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।
এমন বিবেচনায় মোবাইলফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হতে পারে। এতে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এসডি বাড়ানো হলে একজন গ্রাহককে ১০০ টাকার পরিষেবা পাওয়ার জন্য ১৩৪ টাকার মতো ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ তখন ১০০ টাকা টপআপ করলে একজন ব্যবহারকারীকে ৭৫ টাকা ১৪ পয়সার পরিষেবা পাবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৯–২০ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ইত্যাদি মিলে মোবাইলফোন ব্যবহারে গ্রাহক পর্যায়ে মোট করভার পড়ে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এরফলে এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ২২ টাকার মতো যায় সরকারের কোষাগারে।
পরিষেবা খাত থেকে এক বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আগামী ১১ জুন ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেট নতুন করে মোবাইল সেবা গ্রহণে সম্পূরক শুল্ক আরো বাড়ানোর এই ঘোষণা আসতে পারে বলে এনবিআর সূত্রে জানাগেছে।
এ বিষয়ে রবি আজিয়েটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, আমরা সরকারের কাছ থেকে মোবাইল সম্পর্কিত পরিষেবাগুলিতে সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বৃদ্ধির বিষয়ে এখনও কোনও অফিসিয়াল অর্ডার পাইনি। বলাই বাহুল্য, এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের ওপর বোঝা আরও বাড়িয়ে দেবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গ্রাহকরা যে ১০০ টাকায় ব্যয় করেছেন তার মধ্যে বিভিন্ন ভাবে ৫৩ টাকা সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে। এটাও লক্ষণীয় যে, ডিজিটাল যোগাযোগ করোনার মহামারীর সময়ে জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে; অতিরিক্ত এসডি আরোপ করা হলে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।