আবেদনের ৪ বছর পর ট্রেড ইউনিয়নের প্রত্যয়নপত্র পেলো বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন। প্রত্যয়নপত্রে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৮৯ এবং বিধি ১৭২(২) অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।’নিবন্ধন নম্বর ২২০৬।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিজিবাংলা-কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মাহমুদ সোহাগ। তিনি বলেন, নিবন্ধন পাওয়ায় আমরা প্রথমেই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামীতে বাংলালিংকে কর্মরত ১১ শ’ কার্মীর চাকরির নিরাপত্তা ও কল্যাণে কাজ করবো আমরা। পাশাপাশি বাংলালিংক এর সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতেও আমরা সোচ্চার থাকবো।
তিনি জানান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হাসান খান ছাড়াও তাদের সংগঠনে এখন ৪৬৮ সদস্য রয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার পর অবশেষে স্বীকৃতি পেল মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের শ্রমিকদের এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন। রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়য়ের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্রটি বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকের তৎকালীন দুই হাজার ৮২ জন কর্মীর মধ্যে ৭২ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৭১৯ জনকে নিয়ে এই ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হয়। তৎকালীন বাংলালিংকের ইমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র রাজউক এভিনিউ-এর শ্রম ভবনে শ্রম পরিচালক বরাবর জমা দেয়া হয়।
তবে যথাযথ নিয়ম মেনে ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করা হলেও ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল আবেদন বাতিল করে দেয় শ্রম অধিদপ্তর। এরপর মামলা করে বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন। এই সময়ের মধ্যে বাংলালিংকে ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম (ভিএসএস)-এর আওতায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নে মোট সদস্য সংখ্যা ৪৬৮ জন।
২০১৬ সাল থেকেই বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নটি আন্তর্জাতিক ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড হয়ে কাজ করছে।