গ্রাহক পর্যায়ে দিনে এক বারের বেশি কল ড্রপ হয়নি। এ কারণে এই সময়ে অপারেটরটিকে গ্রাহক পর্যায়ে কোনো কল জরিমানা গুনতে হয়নি। গত বছরের আগস্ট থেকে থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত অপারেটরগুলোর কলড্রপের হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,আগস্ট থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে টেলিটক নেটওয়ার্কে মোট পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯ বার কল ড্রপ হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক বার কল ড্রপ হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে। ওই মাসে কল ড্রপ হয়েছে ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৯৬৫ বার।
এছাড়াও গত বছর আগস্ট মাসে ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৩ লাখ ১৭ হাজার, অক্টোবর মাসে ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার, নভেম্বর মাসে ৪৭ লাখ ৯১ হাজার, ডিসেম্বর মাসে ৫১ লাখ ৩৯ হাজার বার কল ড্রপ হয়েছে।
পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম মাসে ৫৪ লাখ ৬২ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, এপ্রিলে ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার, মে মাসে ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার, জুনে ৫০ লাখ ৩৯ হাজার এবং জুলাই মাসে ৪৫ লাখ ২৪ হাজরের বেশি ড্রপ কল হয়েছে।
তবে এই কলড্রপ গুলো একজন গ্রাহকের ক্ষেত্রে দিনে একবারই ঘটেছে।
বিটিআরসি’র নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইলে কথা বলার সময় ১০০ কলে ২ বারের বেশি কল ড্রপ হলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে জরিমানা করতে পারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থার কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, দিনে একই গ্রাহকের নম্বরে ২ বা ততোধিক বারের কল ড্রপের জন্য এক মিনিট করে ফিরতি কল সুবিধা দিতে হয়।
সেই নিয়মে গ্রাহক পর্যায়ে টেলিটক অপারেটরে দিনে দুই বা ততোধিক বার কল ড্রপ হয়নি। ফলে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি। অবশ্য বেসরকারি সব অপারেটরকেই এক্ষেত্রে জরিমানা গুনতে হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরিমানা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর রবি। কল ড্রপের কারণে অপারেটরটি গ্রাহককে সাত কোটি ২৮ লাখ ৯১ হাজার ১৯৩ মিনিট কল ফেরত দিয়েছে।