বাংলাদেশে ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স এর কার্যক্রমকে বেগবান এবং গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪ এর শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মধ্যে মঙ্গলবার একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে সই করেছেন বিআইজিএফ-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক এবং বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল হক; কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ; ডাঃ মুশফিক মান্নান চৌধুরী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন; মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু (সাবেক এমপি ও মন্ত্রী), ভাইস-চেয়ারপারসন এএইচএম বজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের পলিসি রিসার্চ ফেলো হীরেন পণ্ডিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি বিষয়ে প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআরটিসি গত কয়েক বছরে বিআইজিএফকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে এবং এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর আমাদের উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করবে।
হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বিটিআরসির সাথে ভবিষ্যতে সামিট এবং ডিজিটাল কমপ্যাক্ট বাস্তবায়ন ও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার আরও সুযোগ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকটি এগারোটি মূল ফোকাসের সাথে কাঠামোগত এবং উন্নয়নে কাজ করবে। এগুলো হলো- বাংলাদেশে আইজিএফ-এর উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতায় কাজ করা; ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং কানেক্টিভিটির জন্য একসাথে কাজ করা যাতে সকল স্কুলসহ সকল মানুষ ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে; এবং ইন্টারনেট বিভাজন এড়াতে ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করা, ডেটা সুরক্ষার প্রক্রিয়া, ডেটা আদান-প্রদান করা এবং ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা করা, ডেটা উদ্ভাবন, উন্মুক্ত ডেটা, বিগ ডেটা এবং ডেটা-চালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচার জনসাধারণের ভালোর জন্য, অনলাইনে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, ডিজিটাল নিশ্চিত করা। বৈষম্য রোধ এবং বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তুর প্রচার রোধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেওয়া, সকল ডিজিটাল বষিয়গুলোকে (কমনসকে) বিশ্বব্যাপী জনহিতকর হিসেবে প্রচার করা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা। উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং ইউএন সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এর প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা করা।