পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে আগামী মে মাসের মধ্যে রাঙামাটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে আপডেট করা হবে। এই রূপান্তরের মাধ্যমে পোস্টে যে গতানুগতিক সেবাগুলো আছে এর সঙ্গে ৩২৫টি সরকারি ডিজিটাল সেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং সুবিধা থাকবে এবং ই-কমার্সও সম্প্রসারিত করা হবে। এছাড়াও জেলার তিন একর জায়গা জুড়ে একশ কোটি টাকা ব্যয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে। সেখানে এক হাজার তরুণ-তরুণীর স্মার্ট কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এভাবেই আগামী চার বছরের মধ্যে রাঙামাটি হয়ে উঠবে স্মার্ট জেলা।
রাঙামাটি টেলিফোন ভবন, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটি ডাকঘর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, গত ১৫ বছর আগের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং ২০২৪ সালের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাত-দিনের মতো পার্থক্য, অন্ধকার-আলোর মতো পার্থক্য। তিনি আরো বলেন, বিটিসিএলের জীবন সার্ভিসে রাঙামাটিতে তিন হাজার মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও সেখানে পাচ্ছে এক হাজার। তিন হাজার সেবা নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙামাটির তরুণ-তরুণীদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যা অল্পদিনের মধ্যেই রাঙামাটি শহর সংলগ্ন আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের পাশে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর মাধ্যমে প্রতিবছরই রাঙামাটিতে এক হাজার ছেলে-মেয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে চাকরি পাবে এবং পরোক্ষভাবে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আইটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার সুযোগ পাবে।