প্রায় আড়াই দিন পর ফের ব্রডব্যান্ড ইন্টারেনেটের স্বাধীনতা উপভোগ করছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার আদাবর এলাকার বাইতুল আমান হাউজিং, মন্সুরাবাদ হাউজিং, সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ২৫ হাজারের মতো নেটিজেন।
স্থানীয় জনৈক ক্যাবলঅপারেটর কর্তৃক দফায় দফায় ফাইবার কাটার বিষয়ে কোয়াব-আইএসপিএবি বৈঠকের পর শুক্রবার বিকেল থেকেই কর্তিত লাইন পুণঃসংযোগ শুরু করায় সন্ধ্যা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ফিরে পেয়েছেন স্থানীয়রা।
এর আগে বিকেল ৩টায় বনানীর আইএসপিএবি অফিসে ক্যাবল কাটা নিয়ে ক্যবল অপারেটর অব বাংলাদেশ (COAB) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ISPAB) এর মধ্যে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইএসপিএবি সভাপতি মো: ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় কোয়াব এর পক্ষ থেকে সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ হাবিব আলী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশারফ আলী চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মামুন এবং অভিযুক্ত ডিস ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান তুহিন বৈঠকে বসেন।
বৈঠবে বিবাদী বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিষয়ে সবাইকে নিজেদের বক্তব্য ও পরামর্শ পেশ করার অনুরোধ করেন আইএসপিএবি সভাপতি। এসময় আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঞাঁ ভুক্তভোগীদের পক্ষে ২০২২ সাল থেকে শুরু করে সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট তিনবার ক্যাবল কর্তনের ছবি এবং ভিডিও সহ বিবরণ উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান তুহিনের কর্মচারী অপু প্রকাশ্যে তার কাটছে তা প্রতীয়মান হয়।
এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলে অভিযুক্ত আরিফুর রহমান তুহিন তার কর্মচারী অপু দ্বারা ইন্টারনেট ক্যাবল কর্তনের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন এবং সহযোগিতা করবেন বলে কথা দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় আইএসপি ব্যবসায়ীরা ফের লাইন চালু করার বিষয়ে সম্মত হন। এসময় ভোক্তভূগী সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি যুগ্ম সম্পাদক মোহম্মদ এ কাইউম রাশেদ।