তিন দফায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অডিট আপত্তির ৭৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। বিটিআরসি’র পাওনা দাবির ৮১১ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৩ টাকা থেকে ধারাবাহিক ভাবে বকেয়া পরিশোধে সোমবার তৃতীয় দফায় ১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে অপারেটরটি।
এরআগে চলতি বছরের ২৭ জুলাই প্রথমে ৫০ কোটি এবং দ্বিতীয় দফায় ১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিলো বাংলাংলিংক।
চলতি বছরের ২৬ জুন অডিট আপত্তির পাওনা পরিশোধে অপারেটরটিকে ১০ দিনের সময় বেধে দিয়েছিলো বিটিআরসি। আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নিয়ে ২৭ জুলাই কয়েকটি শর্ত নিয়ে বকেয়া থেকে ৫০ কোটি টাকা দিতে বিটিআরসিতে গেলি সেদিন তা গ্রহণ না করে ৩ দিনের সময় দিয়ে ৩০ জুলাই বাংলালিংকের কাছে অডিট আপত্তির পুরো পাওনা টাকা চেয়ে চিঠি দেয়। এদিন বিকালে বাংলালিংক আবার ৫০ কোটি টাকা নিয়ে যায়। তখন বাংলালিংকের কোনো শর্ত বিবেচনায় না নিয়ে এই টাকা গ্রহণ করে। সেখানে এই টাকা অডিট আপত্তির মধ্যে টুজি লাইসেন্স-এ পাওনা দাবির একাংশ হিসেবে নেয়া হয়।
এদিকে বকেয়া পাওনার মূল টাকা ৩৮০ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ১১২ টাকা এবং অন্যান্য ফি বাবাদ ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৭ টাকা সহ মোট ৪২৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৯ টাকা পরিশোধ করতে বিটিআরসি-কে চিঠি দিয়েছিলো বাংলালিক। এরমধ্যে মূল পাওনা থেকে কোনো শর্ত ছাড়া ধাপে ধাপে ২২৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৯ টাকা পরিশোধ করে যাচ্ছে অপারেটরটি। লেট ফি ও সুদ বাবাদ ধার্যকৃত অর্থ ছাড় পাওয়ার পর বাকি ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে বলে চিঠি দিয়েছিলো তারা।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসির অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটরগুলির কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে গ্রামীণ ফোনের কাছে ৬ হাজার ১০১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলালিংক ৮৮০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। রবি আজিয়াটার বকেয়ার পরিমাণ ৫৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং সিটিসেলের কাছে ১৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিটকের কাছে বকেয়া রয়েছে ১২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।