সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা ও পেশাজীবিদের নিয়ে ‘খাদ্য নিরাপত্তাঃ বিজ্ঞানভিত্তিক অনুশাসন ’ বিষয়ক বিজ্ঞান বক্তৃতা করলো “কর্পোরেট খাবার নয়” জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর পলিসি এনালাইসিস কোর্সে প্রশিক্ষণরত ৩৪ জন সামরিক ও বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা এবং পেশাজীবিরা বুধবারের এই সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তব্য প্রদান কালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন এখনও ভেজাল ও দূষণে আক্রান্ত। জাতির স্বাস্থ্যবিধ্বংসী ভয়ংকর এ চ্যালেঞ্জ গতানুগতিকভাবে সমাধান না করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, পাউরুটিতে পটাশিয়াম ব্রোমাইট এর উপস্থিতি আছে, অথচ আমরা এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে অজ্ঞ। কৃষি, পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরীতে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য। খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন আজ বিশ্বজুড়ে মুনাফা শিকারী কর্পোরেট কোম্পানির হাতে বন্দী হয়ে গেছে। খাদ্য উৎপাদনে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনা আনতে হবে, তা’ খাদ্য নিরাপত্তায় একমাত্র রক্ষাকবচ।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ জাহেদুল আলম, বাংলাদেশ সোস্যাল সাইন্স ফাউন্ডেশন এর পরিচালক মোঃ এ.হালিম মিয়া এবং সরকারের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সঙ্গীতা ভট্টাচার্য্য।
বক্তারা খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, ব্যবসায়িক শুদ্ধতা রক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রয়োজন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের স্মারক উপহার প্রদান করা হয় ও বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।