দেশের শিশু, কিশোর ও শিক্ষার্থীসহ নাগরিকদের অগ্নিদূর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর।
মঙ্গলবার বিজ্ঞান জাদুঘর আয়োজিত ‘বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা রোধে করণীয়’ শীর্ষক বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা অগ্নিদূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক অব্যবস্থাপনাকে চিহ্নিত করেন।
এতে বলা হয়, ভবন নির্মানে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী তথা নিম্নমানের তার ও প্লাগ ব্যবহার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া গ্যাসের চুলার অসতর্ক ব্যবহারও দূর্ঘটনার কারণ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হানিফ উদ্দিন বলেন, “বাসাবাড়ীতে দাহ্য পদার্থ খোলা রাখা যাবে না। রান্নার তেলের বোতল মোটা কাপড়/চট্ দিয়ে ঢেকে রাখা নিরাপদ। মেইন সুইচ্ হাতের নাগালে রাখতে হবে। অতি সতর্কতার সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে নতুবা ‘হাত’ দাহ্য পদার্থে পরিণত হবে। দমকল বাহিনী আসার আগে প্রতিটি বাসাবাড়িতে কমপক্ষে ২০ মিনিট অগ্নিনির্বাপনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। পানির বালতি, বালি ও হাতুড়ি প্রস্তুত রাখতে হবে। সম্প্রতি রূপগঞ্জের জুস কারখানায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে হাতুড়ির অভাবে তালাবদ্ধ দরজা খুলতে না পারায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।”
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে কমপক্ষে দু’বার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র পরিস্কার/রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এছাড়া আনাড়ী লোক বাদ দিয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করাতে হবে। মানসম্মত প্লাগ, তার, ক্যাবল, সুইচ ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ দূর্ঘটনা মুক্ত থাকার অপরিহার্য শর্ত। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের অজ্ঞতা ও অসতর্কতা দূর করতে বিজ্ঞান জাদুঘর বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। প্রতিটি সমস্যা বা ঝুকিকে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে সমাধান করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে গাজীপুরের কামারজুরী ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম, চট্টগ্রামের হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজিফা ইসলাম এবং জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহসিন আরা ঐশি বক্তব্য রাখেন। শ্রেষ্ঠ বক্তা হিসেবে তাহসিন আরা ঐশি কে নির্বাচিত করা হয়।