নাসা কনরাড চ্যালেঞ্জের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ২০ মিনিটে স্পেস সেন্টার হিউস্টনে পৌঁছেছে বাংলাদেশের কিশোর উদ্ভাবকদের দল ‘এক্সো ম্যাক্স’। ভ্রমণে ফ্লাইট জটিলতায় নির্দিষ্ট সময়ের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে পৌঁছলেন এই দলের তিন প্রতিযোগী। সেখানে দলের নতুন মেন্টর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের পিএইচডি রিসার্চার সালমান প্রোমন তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
এদের মধ্যে দলনেতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ ত্ব-সীন ইলাহী এবং প্রতিযোগিতায় সহ-অধিনায়ক নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাহ্দী বিন ফেরদৌস পৌঁছেছেন টার্কিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে। অপর সদস্য রাজধানীর লরেটো স্কুলের শিক্ষার্থী সানজীম হোসেন গিয়েছেন কাতার এয়ারওয়েজে।
ভ্রমণে নানা বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরে দলনেতা মোঃ ত্ব-সীন ইলাহী ডিজিবাংলাটেক-কে বলেন, ইরান-ইসরাইল সংঘাতের কারণে টার্কিস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি তিন ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা পৌঁছে। ফলে আমরা ভোর ৬টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ১০টায় উড্ডয়ন করে। এর ফলে আমরা কানেক্টিং ফ্লাইট মিস করি। ফলে ২৪ ঘণ্টার ফ্লাইট বিড়ম্বনায় পরি।
তিনি আরো বলেন, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর ওদের নিজেদের রি সিডিউল এর আশায় বসে না থেকে ( কারণ রিসিডিউল কম্পিটিশন এর পর করবে ) আমরা ২ জন ৯১ হাজার *২ জরিমানা দিয়ে টার্কিশ এয়ারওয়েজ এর টিকিট কাটি যা ছিল ২১ তারিখ ভোর ৬:২০ এ । এখানে এসেও আবার কাহানি । ফ্লাইট ৩ ঘন্টা লেট । তারপর ট্রানজিট ২ ঘণ্টার মানে এক কথায় ২১ তারিখ ইস্তাম্বুল থেকে হউসটর যাওয়ার ফ্লাইট পাবো না । বোর্ডিং এ সবার আগে যেয়ে একটু পর একটু পর করে ঘুরাতে ঘুরাতে ৫-৬ ঘন্টা ঘুরানোর পর ২২ তারিখ ফ্লাইট দিলো । যেহেতু আমাদের আমেরিকান ভিসা আসে তো ওখানে বললো যে আমাদের বাহিরে বের হতে দিবে । তারপর সবার আগে যেয়ে সবার পরে পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন এ যেয়ে আরেক কাহানি । আমাদের ছোট দেখে সব শুনে সব ডিটেইলস দেখে ২-৩ টা অফিসার এর সাথে কথা বলে ইমিগ্রেশন দিলো । তো ৩ ঘন্টা লেট করে আমরা ইস্তাম্বুল এ আসার পর বলো ই – ভিসা নিতে । তো ৬২$ * ২ খরচ করে আমরা ২ জন ভিসা নিলাম । দিয়ে বলল যে এয়ারওয়েজ এর হোটেল একমেন্ডেশন এর সাথে কথা বলো । তো আমরা ইমিগ্রেশন পার করে পাসপোর্ট এ শীল মারা পর কথা বলি তখন বলে যে আমাদের বয়স ১৮ এর নিচে বলে আমরা এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে পারব না । আমাদের এয়ারপোর্ট এর লাউঞ্জে থাকতে দিবে । রেস্ট করার ব্যবস্থা আসে বলে । তো গেলাম । দিয়ে দেখি কোনো বেড নাই । বড় সোফা এক করে বেড করে ঘুমাতে হচ্ছে । তো ওখানে খাওয়া দাওয়া ফ্রি । আর আমাদের ইয়ং যারা ট্রানজিট এ দেশে যায় ওদের এভাবে তুর্কি লাউন্স এ রাখে বের হতে দেয়না ( এটা নাকি ওদের একটা গাঁজা খোরি নীতি ) । তো এখানে আমরা ২ জন আর আরেক ইউরোপিয়ান এক ছেলে ছিল । তো আমাদের দেখাশোনার দায়িত্বে এক ইয়ং মেয়ে স্টাফ ছিল প্রথমে । তো আমরা সব শেষ এ ঘুমিয়ে ছিলাম । তো ওই মেয়ের সিফট চেঞ্জ হওয়ার পর আরেকজন ভদ্র মহিলা এসে বলে যে এটা বিসনেস ক্লাস লাউন্স তো এখানে এভাবে ঘুমানো হবে না এই হবে না সেই হবে না । ঘুমাতে হলে বাহিরে এক নেপিং এর সিট আছে ওখানে ঘুমাতে হবে। ঘুম হয়নি। শরীরের শক্তিও নিঃশ্বেষ প্রায়। এরমধ্যে সকাল ২টায় আমেরিকার ফ্লাইট ধরি। সব মিলিয়ে কম্পিটিশন এ কি করবো তার নাই কোনো হিসাব।