তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর ও ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে নাটোরের সিংড়ায় চালু হলো কুমন কানেক্ট। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে “কুমন জাপানি লার্নিং মেথড” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির পক্ষে অনুষ্ঠানে কার্যক্রমের ফলক উন্মোচন করেন ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন, নাটোরের সিংড়ার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, দমদমা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অহিদুর রহমান, জাপান থেকে আগত কুমন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক কৈচি সান জেট্রো বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি উইজি আন্দো প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ছয়টি উপজেলার ছয়টি স্কুলে ব্র্যাক কুমন কানেক্ট শুরু করবো। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে সম্প্রসারণ করা হবে। আর ৩১ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হবে। এই ল্যাবগুলোতে যেসব ট্যাব থাকবে সেখানে তাদের স্টাইলাস মেথডটা অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে ও দেশে অনেকেই কথা বলেন এবং পরামর্শ দেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি মনে করি, এখন সময় এসে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ‘লার্নিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার। টিচার লেস লার্নিং বা আফটার স্কুল লার্নিং শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি উৎসাহিত করে। আমার নিজের জীবনেও আমি শিক্ষকদের পাশাপাশি বন্ধুদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছি, যা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।
‘আমরা সবাই জানি, পৃথিবীতে তিনটা সম্পদ আছে যা বিতরণ করলে ও অন্যের সাথে ভাগাভাগি করলে কমে যায়না বরং বৃদ্ধি পায় এবং তা হলো- ভালোবাসা, সম্মান ও জ্ঞান। তাই গণিত ও ইংরেজির ভয় দূর করে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে আফটার স্কুল লার্নিং ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষায় দক্ষ করে আমাদের আগামী প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তৈরি করতে আমরা ‘ব্র্যাক কুমন’ শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করছি’-যোগ করেন পলক।
এর আগে সিংড়া উপজেলার দমদমা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিশু-কিশোরদের সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমকোন দেখে শিশুরা চিনে নিলো পিথাগোরাস-কে। জানলো সংখ্যা তত্ত্বের কথা।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুমন মেথড নিয়ে সেই তত্ত্ব তুলে ধরেন ব্র্যাক কুমন প্রধান নির্বাহী নেহাল বিন হাসান। তার সঙ্গে অংকের খেলায় মেতে ওঠেন শিশুরা। সঠিক উত্তর দিয়ে জিতে নেন পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কুমন পদ্ধতিতে ইংরেজি শেখার কুইজ নেন কুমন সেন্ট্রাল টিম প্রধান দেবু নাথ। এরপর মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপা উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাকদের সঙ্গে মনের রহস্যময় আচরণ নিয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার ১৬ তম বর্ষে ৬১ দেশে ২৪ হাজার সেন্টার আছে কুমনের।