বর্তমানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ লাখ আদি নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে বাংলাদেশে। এদের মধ্যে গারো সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং এবং হার পাওয়ার ও ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার গারো ব্যাপ্টিষ্ট কনভেনশন, বাংলাদেশের ১৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক জানান, দেশে সোনা-রূপার মতো খনিজ সম্পদ নেই। কিন্তু আছে এর চেয়েও দামি মানব সম্পদ। প্রযুক্তির শক্তিতে সেই সম্পদ কাজে লাগিয়েই বিশ্বজয় করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই মিশনে অংশ নিচ্ছে গ্রাম থেকে শুরু থেকে পাহাড়িরাও। এক্ষেত্রে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনতে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে।
প্রতিমন্ত্রী জানালেন, সফল ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দেও এর সাফলে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় বসবাসরত সাঁওতালদের নিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম বারের মতো আদিবাসিদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়াম্যান ডেভিড রানা চেসিম ও সংসদস সদস্য জুয়েল আরেং এর দাবি অনুযায়ী, হালুয়াঘাটের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ৫ম তলায় ৫ হাজার বর্গফুট জুড়ে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে জয় ডিজিটাল সেন্টার এন্ড ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ধোবাউড়াতেও আমরা আরেকটি জয় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করবো। এর সাথে সাথে প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের সুযোগ কাজে লাগাতে স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার প্রকল্প এখানে শুরু করবো। জরুরী ভিত্তিতে এখানকার ১৯ ইউনিয়ন থেকে একজন করে নারী উদ্যোক্তা এবং পৌর সভার ১জন সহ ২০ জন উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার করে টাকা সিড মানি হিসেবে দেবো। পরবর্তীতে দুই উপজেলার আরো ৪০০ জনকে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ দেবো। তাদেরকে স্মার্ট উদ্যোক্তা করে তুলবে।
পলক বলেন, সোনার মাটিতে সোনার মানুষদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। এজন্য আপনাদের সবার সম্মিলিত সহযোগিতা চাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে সবাই জীবন বাজি রেখে পকিস্তানবাহিনীকে পরাজিত করেছিলো, সেভাবেই সাইবার যুদ্ধেও আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিরোধ করে বিজয়ী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দেও এর হাতে ৫টি ল্যাপটপ তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে আয়োজনের কুশীলবদের জন্য ২০ হাজার টাকা করে উপহার দেন ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে।
ময়মনিসিংহের ধোবাবউড়ার চন্দ্রকোনা ব্যাপ্টিস্ট মন্ডলিতে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ড. মেরিল এন সাংমা। সভার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিবিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পাঃ পঙ্কজ মারাক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফতেমা জান্নাত, চালডাল প্রতিষ্ঠাতা সিইও জিয়া আশরাফ প্রমুখ।