বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ট্যাবে আঙ্গুলের স্পর্শে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম, সিনেপ্লেক্স এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি কিউআর কোড ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতিঃ প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ এবং শেখ কামালের গ্রাফিক নভেল‘ প্রকাশনারও মোড়ক উন্মোচন করেন সরকার প্রধান।
২৬ নভেম্বর, সোমবার ষষ্ঠ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল অনুষ্ঠানে এই ৫টি উদ্যোগ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও পুরস্কৃত করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিজয়ীদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য ধরে সরকার কাজ করছে, সেই বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর সেজন্য চারটি ভিত্তি ধরে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।”
তবে শুধু ২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও এই বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দরভাবে, স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করে দেওয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটা সিটিজেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, স্মার্ট সিটিজেন। উইথ স্মার্ট ইকোনমি; অর্থাৎ, ইকোনমির সমস্ত কার্যক্রম আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করব। স্মার্ট গভার্নমেন্ট; ইতোমধ্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি। সেটাও করে ফেলব। আর আমাদের সমস্ত সমাজটাই হবে স্মার্ট সোসাইটি।”
সরকার গত ১৪ বছরে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি অবকাঠামো, কানেকটিভিটি, ই-গভর্নমেন্ট এবং ইন্ডাষ্ট্রি প্রমোশনের ক্ষেত্রে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেথে তা তুলে ধরেন সরকার প্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কানেকটিভিটি থাকায় করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও কোনো কাজ ‘থেমে থাকেনি’ আমরা যা যা করেছি, সবই কিন্তু আমি বলব… আমার ছেলে জয় যদি আমাকে পরামর্শ না দিত, তাহলে হয়ত আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম।