প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বিশ্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশজুড়ে একের পর এক আত্মপ্রকাশ করছে হাইটেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার ও ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। এরমধ্যে কেবল বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কেই হবে ৫০ হাজার তরুণের কর্মসংস্থার। ২০২৭ সালের মধ্যে এই পার্র্কে বিনিয়োগ ২৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন আশা করছি, আগামী ২০২৫ বছরের মধ্যে সারাদেশের ৯২টি হােইটেক পার্কে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে হাইটেক টাউনশিপে একটা ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারবো। এভাবেই ডিজিটাল সেবা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে হাইটেকপার্ক।
রবিবার গাজীপুরের হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটাসেন্টার উদ্বোধন পরবর্তী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
উপাত্ত বিশ্লেষণ ভিত্তিক সল্যুশন দিয়ে তেল সমৃদ্ধ অনেক জাতি থেকে বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পলক আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তার জন্য ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের খসড়া প্রণয়ন করেছি। সবার মতামত নিয়েই এই আইন করা হবে। তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম বেসরকারি থ্রি টায়ারা ডেটা সেন্টারের ব্যবসায়িক সুবিধার কথা তুলে ধরেন ফেলিসিটি আইডিসি প্রধান নির্বাহী শরিফুল আলম।
ফাইবার অ্যাট হোম চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও বিটিআরসি ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত কুমার মৈত্র বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিধির বক্তব্যে এখন থেকেই দুরদর্শী না হলে আগামী কয়েক বছরের হাইটেক পার্কে জায়াগা পাওয়া দুস্কর হয়ে যাবে বলেও বিনিয়োগকারীদের দেরি না করার পরামরশ দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দূরদৃষ্টি সিদ্ধান্তের ফসল ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন কাওরান বাজারে কোনো জয়গা খালি নেই। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনিয়োগের এখনই সঠিক সময়। তাই এখনই অল্প বিনিয়োগে স্বল্প খরচে হাইটেক পার্কে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাবে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার কিংবা বিপিও যে ব্যবসাই হোক না কেন আমাদের এখানে যে সুবিধা আছে বাংলাদেশের কোথাও সে সুবিধা পাওয়া যাবে না।
সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের চাকরিজীবি হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হতে সরকারের সব আয়োজন বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই স্টার্টআপ কোম্পানি বাংলাদেশ গঠন করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ শুরু করেছি। হাইটেক পার্কে কেউ আবেদন করলে সেখান থেকেও আমরা তাদেরকে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ দিতে পারি।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, মহাসচিব নাজমুল করিম ভূইয়া; আমরা নেটওয়ার্ক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, লিংক থ্রি চেয়ারম্যান রেহান কাইয়্যুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য পর্ব শেষে নতুন ডেটা সেন্টার ঘুরে দেখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এরপর সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন।