ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য স্মার্ট সোসাইটি,স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট উপহার দিয়ে ২০৪১ সালেও বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য ৪টি কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার মৌলভী বাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ভিশন ২০৪১ : স্মার্ট আইসিটি ডিভিশন পরিকল্পনা প্রণয় বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে এই সুপারিশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, প্রকল্পের অধীন উদ্ভাবনের মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে এতে জনগণের কী উপকার হচ্ছে। দ্বিতীয় শর্ত রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট। তৃতীয় বিষয় যৌক্তিকতা এবং চতুর্থ বিষয়টি হলো আত্মনির্ভরশীলতা। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে ক্যাশলেস ও পেপারলেস বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ স্মার্টবাংলাদেশ হবে। এক্ষেত্রে ৭টি প্রশ্ন দিয়ে করণীয় সব কিছু সম্পাদনে নির্দেশনা দেন তিনি।
কিভাবে একটা সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদীপ্ত, অর্ন্তভূক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক এবং টেকসই সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে আত্মনির্ভরশীল উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ। নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির জন্য আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকবে পৃথিবী।
এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে পলক বলেন, পূর্ব বা পশ্চিমের দিকে না তাকিয়ে বিশ্বে ২০৪১ সাল কেমন হবে তা বাংলাদেশই বলবে। এরপর পরবর্তী ১০ বছরে বিশ্বে কী হবে তা জনাতে বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকবে। বেল ল্যাবের মতো এর জন্য বাংলাদেশের আইল্যাব, শিফট, স্মার্টআপ বাংলাদেশ বা ইনোভেশন একাডেমিতে থেকে সেই আগাম বার্তা দেয়া যায় সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বিসিসি’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রঞ্জিত সরকার, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক খুরশীদ আলম।
আইসিটি বিভাগের প্রতিটি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৭৩ জনের প্রতিনিধি দল। টানা ৫ দিন ধরে কর্মশালায় স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে শেয়ারড ভিশন, স্মার্ট ইন্টিগ্রেশন ও স্ট্যান্ডারাইজেশনের মাধ্যমে ২০২৫, ২০৩১ ও ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের মাস্টার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। এক্সওয়াই মেট্রিক্সে ফেলে কনভার্সনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল পত্র।
এ নিয়ে সমাপনী অধিবেশনে এটুআই এর চিফ ই-গভর্নেন্স স্ট্রাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ জানান, কর্মশালায় চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ১৩টি লিংকিং স্টেটমেন্ট তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ৯টি সংস্থার ৩২টি মিশনের ১১৪টি উদ্যোগের পরিকল্পিত নকশা করা হয়েছে। তবে এই খসড়াটি আরো সুবিন্যস্ত করায় ২০৪১ সালের টাইম লাইনে ২২ প্রকল্প চলবে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৫টি ইউনিট হিসেবে কাজ করবে। থাকবে ৮টি উদ্যোগ ও ২টি ইডিসি। এভাবে ২০২৫ সালে ৩৫টি প্রকল্প, ৯টি ইউনিট, ৪টি কোম্পানি, ২টি ইডিসি ও ৩০ উদ্যোগ; ২০৩১ সালে ১১ট্রি প্রকল্পে ৯টি ইউনিট, ৩টি কোম্পানি, ২টি ইডিসি ও ৪টি উদ্যোগ এবং ২০৪১ সালে একটি প্রকল্পে ১৪টি ইউনিট, ৩টি কোম্পানি ৩টি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে। এজন্য ৯৫টি ফিউচার সল্যুশনের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করা হয়েছে।
এসময় কর্মপরিকল্পনার অবকাঠামো বিষয়ে আলোকপাত করে ডেভনেট চেয়ারম্যান একে সাব্বির মাহবুব বলেন, সংস্থাগুলোর ফাংশনালিটি অনুযায়ী সিস্টেম মডেলগুলো অ্যাটোমিক ভাবে করতে চাই।