২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর সিংড়ায় একজন শ্রমিককে মালিকে পরিণত করা হয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, শুধু বড় বড় বক্তব্য দিয়েই আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করি না। আমরা নানা মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে মাননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুশানের নিরাপদ, উন্নত-আধুনিক সিংড়া-কে নান্দনিক-মানবিক সিংড়ায় পরিণত করছি।
রবিবার সিংড়া পৌরসভার প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের মধ্যে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, সবাইকে ছাড়া ঈদের সার্থক আনন্দ হয় না। এ কারণেই আমারা আমাদের সাধ্যমতো ধনী-দরিদ্র; সক্ষম-অক্ষম সবাইকে সমানভাবে সহযোগিতা করি। শুধু ফোর লেন রাস্তা নয়; কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধী শিশু যদি ঈদের জামা না পায়; খাবারের ব্যবস্থা না হয় তাহলে আমাদের এই উন্নয়ন সার্থক হবে না। সেকারণে আমরা প্রতিটি পরিবারের খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, মায়ের মমতা দিয়ে প্রতিবন্ধীদের বুকে টেনে নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সারাবিশ্বের প্রতিবন্ধীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ,কর্মসংস্থান ও শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জয় ভাইয়ের নির্দেশনায় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের আত্মকর্মসংস্থান ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে দেশের হাইটেক পার্ক সমূহে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পড়ালেখার জন্য ব্রেইল টেকনোলজি ও প্রযুক্তিগত সমাধান বের করা হয়েছে। সবগুলো হাইটেকপার্কে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মক্ষম করার প্রকল্প হাতে নেচ্ছি, যাতে কেউ প্রতিবন্ধীকে বোঝা মনে না করে।
সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিউল ইসলাম, সিংড়া প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বেগম আঞ্জুমাান আরা, সিংড়া প্রেসক্লাব সভাপতি ইমরান আলী রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সিংড়া পৌরসভার আয়োজনে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পৌরসভার ১০০ জন প্রতিবন্ধী এবং ৭৫ জন পথশিশুর মাঝে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী ও পথশিশুদের মাঝে নতুন পোশাক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।