চার ধাপে দেশের ৬৪টি জেলাতেই স্থাপিত হতে যাচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিইবেশন পার্ক। এরমধ্যে দুইটি প্রকল্পের অধীনে এগিয়ে চলছে ১৯ জেলার কাজ। ইতোমধ্যেই রংপুর, কুমল্লা, সিলেট, বরিশাল, নেত্রকোনা, চট্টগ্রামসহ ১৯ জেলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সরকারি অর্থায়নেই আরো ১৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিইবেশন পার্ক স্থাপনের অনুমোদনও হয়ে গেছে।
বাকি ৩২টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিইবেশন পার্ক তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সামনে সম্ভাব্যতা নিরুপনের নানা বিষয় উপস্থাপন সহ চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব নিয়াজ মোহাম্মাদ জিয়াউল আলম ছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচলাক বিকর্ন কুমার ঘোষ।
বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগের ৭টি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৬টি করে মোট ১২টি, রাজশাহীতে ৫টি,বরিশালে ৩টি এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের ২টি করে মোট ৪টি জেলায় এই পার্কগুলো স্থাপিত হবে। আর ৩২টির মধ্যে বাকি থাকা পার্কটি হবে সিলেটে।
আর এই পার্কগুলো স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সব মিলিয়ে প্রাক্কলিত খরচ ধরা হয়েছে চার কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত“শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন শীর্ষক (১৪টি)” প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও তুলে ধরা হয় এই বৈঠকে। বৈঠকে জানানো হয়, চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জের জন্য কাশিয়ানি উপজেলা এবং হবিগঞ্জ সদরে জায়গা কেনার পর তা নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের খাস জমি পেতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে এবং নবাবগঞ্জের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, একই ভাবে ফেনীর পরশুরামে জমি পেতে প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে। নেয়াখালী, সুনামগঞ্জ, নড়াইল ও পটুয়াখালী সদরে প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।