৪৮ কোটি টাকা ব্যায়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে নির্মণ শুরু হয়েছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৩৬ হাজার বর্গফুট এলাকায় নির্মাণ করা হবে ৬তলা ভবন।
শনিবার দুপুরে সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, প্রকল্প পরিচালক মোস্তফা কামাল, হাইটেক পার্ক এর পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই সেন্টার শুধু ইট-কাঠ-পাথরের-লোহার একটি অবকাঠামো নয়। শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার হবে চট্টগ্রামের আগামী প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের ঠিকানা। এখন থেকে প্রতি বছর এক হাজারের বেশি তরুণ প্রশিক্ষণ নেবে। স্টার্টআপ ফ্লোর ব্যবহার পাবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্লাগ অ্যান্ড প্লে আন ইন্টারাপ্টেড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদিও অর্থের দিক দিয়ে ৪৮ কোটি টাকা চট্টগ্রামের উন্নয়নের তালিকায় খুব বড় কিছু নয়, এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে, ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে। বে-টার্মিনাল হচ্ছে। পাশেই মিলিটারি ইউনিভার্সিটি অব মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি হচ্ছে।
কিন্তু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের বঙ্গবন্ধু যেই সম্পদকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন সেই দুটি সম্পদকে কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান মনযোগী হননি বলে মন্তব্য করেন পলক।
তিনি বলেন, আজ যদি কারো ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো থাকে তাহলে ৫০-১০০ টাকার এমবি দিয়ে মাসব্যাপী দেশে-প্রবাসে বিনা পয়সায় কথা বলা যায়। ভিডিও কলও করা যায়। একটা পয়সা কাওকে খরচ করতে হয় না। এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় এবং চট্টগ্রাম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে চারটি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়। আইসিটি বিভাগের অপর একটি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় ২০০০ বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ৫৭০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২ জনকে ল্যাপটপ প্রদান করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। এসময় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী একটি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, জব পোর্টাল ও ডাটা বেইস উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।